স্বাভাবিকভাবে, প্রতি মিলিলিটার বীর্যে ১৫ মিলিয়নের বেশি শুক্রাণু থাকা উচিত। এর চেয়ে কম হলে তাকে Low Sperm Count বলা হয়।
Low Sperm Count-এর কারণগুলো:
১. জীবনযাপন ও অভ্যাস
অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান
অতিরিক্ত মানসিক চাপ
মোবাইল বা ল্যাপটপ দীর্ঘসময় কোমরে রাখা (তাপমাত্রা বাড়ে)
দীর্ঘ সময় বসে থাকা
ঘুম কম হওয়া
২. শারীরিক সমস্যা
টেস্টিকুলার ইনফেকশন
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
ভ্যারিকোসিল (Varicocele – অণ্ডকোষের শিরা ফুলে যাওয়া)
স্থূলতা (মোটা হলে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায়)
৩. ঔষধ বা চিকিৎসা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কিছু অ্যান্টিবায়োটিক বা স্টেরয়েড
কেমোথেরাপি
দীর্ঘমেয়াদি রোগ (ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সমস্যা ইত্যাদি)
উপসর্গ (যদি থাকে):
গোপনাঙ্গে ব্যথা বা ভারী ভাব
সহবাসে আগ্রহ কমে যাওয়া
সন্তান না হওয়া
যা করতে পারেন (প্রাকৃতিকভাবে শুক্রাণু বাড়াতে):
খাদ্যাভ্যাস:
দুধ, ডিম, কলা, বাদাম, রসুন
দুধে ভেজানো ছোলা/খেজুর
দুধ-চিনি ছাড়া চা কম খান
জীবনযাপন:
রোজ ৩০ মিনিট হাঁটুন
মোবাইল বা ল্যাপটপ অণ্ডকোষের কাছে রাখবেন না
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে অণ্ডকোষ ধোয়া যায় মাঝে মাঝে
টেস্ট করাতে পারেন:
Semen Analysis Test — যেকোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করানো যায়
এর মাধ্যমে শুক্রাণুর পরিমাণ, গতি ও গঠন জানা যায়
চিকিৎসা পেতে হলে:
একজন আন্ড্রোলজিস্ট বা ইউরোলজিস্ট দেখান
সাধারণত কিছু ওষুধ, ফুড সাপ্লিমেন্ট বা হরমোন থেরাপি দিলে উন্নতি হয়