মাসিক বন্ধ থাকার সম্ভাব্য কারণগুলো:

  1. হরমোনাল ইমব্যালেন্স:
    • থাইরয়েড সমস্যা (Hypothyroidism/Hyperthyroidism)
    • প্রোল্যাকটিন হরমোনের মাত্রা বেশি হলে মাসিক বন্ধ হতে পারে।
    • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) – অনিয়মিত মাসিকের একটি সাধারণ কারণ।
    • ওজন কমে যাওয়া বা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া – হরমোনাল ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
  2. মানসিক চাপ ও স্ট্রেস:
    • অতিরিক্ত মানসিক চাপ মাসিক বন্ধের অন্যতম কারণ।
  3. ওজন কমে যাওয়া বা বেশি হওয়া:
    • অতিরিক্ত ডায়েটিং বা ওজন কমে গেলে মাসিক বন্ধ হতে পারে।
    • স্থূলতা থাকলেও হরমোনাল ইমব্যালেন্স হয়ে মাসিক বন্ধ হতে পারে।
  4. ডায়াবেটিস বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা:
    • দীর্ঘমেয়াদী অসুখ বা ডায়াবেটিস থাকলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  5. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
    • জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা প্রোজেস্টেরন ওষুধ খেলে পরে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।

কি করলে মাসিক হবে?

প্রাকৃতিক উপায়:

  • গরম পানিতে গোসল করুন – রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • তিল ও গুড় খান – এগুলো মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • দারুচিনি চা পান করুন – এটি হরমোন ব্যালেন্স করতে পারে।
  • স্ট্রেস কমান – যোগব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম নিন।

ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ:

  • Primolut N বা Medroxyprogesterone (Provera) – ডাক্তার ৫-১০ দিন খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন, যা মাসিক আনতে সাহায্য করতে পারে।
  • Combined Oral Contraceptive Pill (COCP) – মাসিক নিয়মিত করতে ব্যবহার করা হয়।
  • PCOS থাকলে Metformin বা হরমোন থেরাপি লাগতে পারে।

আপনার করণীয়:

  • একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ দেখান।
  • Pelvic Ultrasound ও কিছু হরমোনাল টেস্ট করান (FSH, LH, Prolactin, Thyroid, Testosterone ইত্যাদি)।
  • নিজে নিজে বেশি ওষুধ খাবেন না, কারণ এতে হরমোন আরও বেশি গড়বড় হতে পারে।

আপনার কি ওজন বেশি বা কম?