আধুনিক জীবনে উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপ বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রক্তচাপ একটি জীবনধারার রোগ। যা সরাসরি কোলেস্টেরল এবং হার্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। উচ্চ রক্তচাপের কারণে যেমন মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, আবার লো প্রেশারও অনেক শারীরিক জটিলতার নেপথ্যে থাকে। তবে রক্তচাপ বয়সের সঙ্গে বদলায়।

একইসঙ্গে মহিলা ও পুরুষদের রক্তচাপের হেরফের হয়। তাহলে কোন বয়সে কত ব্লাড প্রেশার থাকা উচিত, জেনে নিন-
২০ থেকে ২৫ বয়সি পুরুষদের ১২০.৫/৭৮.৫ রক্তচাপ হওয়া উচিত। ওই বয়সের মহিলাদের প্রেশার থাকা উচিত ১১৫.৫/৭০.৫। এরপর ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সের পুরুষদের ১১৯.৫/৭৬.৫ রক্তচাপ থাকা স্বাস্থ্যকর, যেখানে মহিলাদের হওয়া উচিত ১১৩.৫/৭১.৫। ৩১ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত পুরুষদের রক্তচাপ হওয়া উচিত ১১৪.৫ এবং ৭৫.৫, মহিলাদের ১১০.৫/৭২.৫।
৩৬ থেকে ৪০ বয়স হলে পুরুষদের ১২০.৫/৭৫.৫ এবং মহিলাদের ১১২.৫ এবং ৭৪.৫ থাকা উচিত। আবার বয়স ৪১ থেকে ৪৫ হলে পুরুষদের ১১৫.৫ এবং ৭৮.৫ আর মহিলাদের ১১৬.৫ এবং ৭৩.৫ রক্তচাপ থাকা স্বাভাবিক।
বয়স যদি ৪৬ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হয় তাহলে পুরুষদের ১১৯.৫/৮০.৫ এবং মহিলাদের ১২৪ এবং ৭৮.৫ রক্তচাপ হওয়া স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ৫১ থেকে ৫৫ বছর বয়সি পুরুষদের ১২৫.৫/৮০.৫ এবং মহিলাদের ১২২.৫/৭৪.৫ রক্তচাপ হওয়া উচিত।
এরপর ৫৬ থেকে ৬০ বছর বয়স হলে পুরুষদের রক্তচাপ হওয়া উচিত ১২৯.৫ এবং ৭৯.৫, মহিলাদের একই বয়সে ১৩২.৫ এবং ৭৮.৫ প্রেশার থাকা উচিত। সেই সঙ্গে বয়স ৬১ থেকে ৬৫ হলে পুরুষদের রক্তচাপ হওয়া উচিত ১৪৩.৫ এবং ৭৬.৫, মহিলাদের ১৩০.৫ এবং ৭৭.৫।
উল্লেখ্য, বয়স ও লিঙ্গ নির্বিশেষে স্বাস্থ্যকর রক্তচাপ রাখতে সাধারণ গাইডলাইন হিসাবে এই তালিকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ ১১০ এর উপরে এবং ৭০-এর নীচে কমলে তা শরীরের উপর বড় প্রভাব ফেলে। তবে যে কোনও শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।