আধুনিক কৃষি এবং জৈব কৃষির মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. উৎপাদন পদ্ধতি:

  • আধুনিক কৃষি: উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করা হয়।
  • জৈব কৃষি: রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে, জৈব সার (যেমন – গোবর সার, কম্পোস্ট সার) এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করা হয়।
    ২. পরিবেশের উপর প্রভাব:
  • আধুনিক কৃষি: রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। মাটি, পানি এবং বায়ু দূষিত হয়।
  • জৈব কৃষি: পরিবেশের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ। কোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না বলে দূষণের সম্ভাবনা কম।
    ৩. খাদ্যগুণ:
  • আধুনিক কৃষি: উৎপাদিত ফসলের স্বাদ ও গন্ধ তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে।
  • জৈব কৃষি: উৎপাদিত ফসলের স্বাদ ও গন্ধ সাধারণত ভালো হয় এবং স্বাস্থ্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
    ৪. খরচ:
  • আধুনিক কৃষি: রাসায়নিক সার, কীটনাশক এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে উৎপাদন খরচ বেশি হতে পারে।
  • জৈব কৃষি: রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার না থাকায় উৎপাদন খরচ তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে।
    ৫. ফলন:
  • আধুনিক কৃষি: উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ব্যবহারের ফলে ফলন বেশি হয়।
  • জৈব কৃষি: ফলন তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে, তবে মাটি ধীরে ধীরে উর্বর হয়ে উঠলে ফলন বাড়তে পারে।
    ৬. সময়:
  • আধুনিক কৃষি: ফসল দ্রুত উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়।
  • জৈব কৃষি: ফসল উৎপাদনে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় লাগতে পারে।
    উপসংহার:
    আধুনিক কৃষি এবং জৈব কৃষি উভয় পদ্ধতিরই নিজস্ব সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। আধুনিক কৃষি বেশি ফলন দিলেও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অন্যদিকে, জৈব কৃষি পরিবেশ-বান্ধব হলেও ফলন তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে।