দাজ্জাল কোথা থেকে আসবে?

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, দাজ্জাল পূর্ব দিক থেকে বের হবে এবং সে ধীরে ধীরে বিভিন্ন জায়গায় তার ফিতনা ছড়াবে।

দাজ্জালের আবির্ভাবের স্থান:

  1. খোরাসান অঞ্চল থেকে আসবে:
    • রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
      “দাজ্জাল খোরাসান নামক স্থান থেকে বের হবে, এবং তার সাথে সত্তর হাজার ইহুদি থাকবে, যারা ইসফাহানের (ইরানের একটি শহর) বাসিন্দা হবে।” (তিরমিজি: ২২৩٧, ইবনে মাজাহ: ৪০৭৪)
    • খোরাসান বর্তমান ইরান, আফগানিস্তান, এবং তুর্কমেনিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল।
  2. সমুদ্র বা একটি নির্জন দ্বীপ থেকে বের হওয়ার সম্ভাবনা:
    • তামিম আদ-দারি (রা.) নামে এক সাহাবি একবার সমুদ্রে ভ্রমণের সময় একটি দ্বীপে দাজ্জালকে দেখেছিলেন, যেখানে সে শৃঙ্খলিত অবস্থায় ছিল। (সহিহ মুসলিম: ২৯৪২)
    • এর থেকে বোঝা যায়, দাজ্জাল বর্তমানে কোথাও বন্দি আছে এবং নির্দিষ্ট সময়ে মুক্তি পেয়ে পৃথিবীতে তার ফিতনা চালাবে।
  3. সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী এলাকা থেকে উদ্ভব হবে:
    • রাসুল (সা.) বলেছেন:
      “দাজ্জাল সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী পথ দিয়ে বের হবে এবং ডানে-বামে ফিতনা ছড়াবে।” (সহিহ মুসলিম: ২৯৩৭)
    • এ থেকে বোঝা যায়, সে খোরাসান থেকে বের হলেও প্রথমে সিরিয়া ও ইরাক অঞ্চলে তার প্রভাব বিস্তার করবে।

উপসংহার

দাজ্জালের নির্দিষ্ট আবির্ভাবস্থল সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা কঠিন, তবে হাদিসের আলোকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বোঝা যায়:

প্রাথমিকভাবে খোরাসান অঞ্চল থেকে বের হবে।
ইরানের ইসফাহান শহরের ইহুদিরা তার অনুসারী হবে।
সে কোনো এক দ্বীপে বা অজানা স্থানে বন্দি আছে এবং নির্দিষ্ট সময়ে মুক্ত হবে।
সে সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী অঞ্চল থেকে তার ফিতনা ছড়ানো শুরু করবে।

আমাদের উচিত দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য প্রস্তুত থাকা, ঈমান মজবুত রাখা এবং রাসুল (সা.)-এর শেখানো আমলগুলো পালন করা।