ব্লু লাইট (Blue Light) কোথা থেকে আসে?

ব্লু লাইট হলো দৃশ্যমান আলোর একটি অংশ, যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৩৮০-৫০০ ন্যানোমিটার। এটি প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উভয় উৎস থেকে আসে।

১. প্রাকৃতিক উৎস:

সূর্যের আলো – ব্লু লাইটের প্রধান উৎস। এটি আমাদের ঘুম-জাগরণের ছন্দ (circadian rhythm) নিয়ন্ত্রণ করে এবং মুড ও শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

২. কৃত্রিম উৎস:

ডিজিটাল স্ক্রিন (মোবাইল, কম্পিউটার, ট্যাব, টিভি) – LED এবং LCD স্ক্রিন থেকে উচ্চমাত্রার ব্লু লাইট নির্গত হয়।
LED ও ফ্লুরোসেন্ট লাইট – আধুনিক ঘর ও অফিসের আলোর বেশিরভাগই ব্লু লাইট নির্গত করে।
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, টেলিভিশন – এগুলো দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করলে চোখে চাপ পড়ে এবং ডিজিটাল আই স্ট্রেন হতে পারে।
LED হেডলাইট ও স্ট্রিট লাইট – রাতের বেলা গাড়ির LED লাইট থেকেও ব্লু লাইট আসে।

ব্লু লাইটের প্রভাব:

🔹 পজিটিভ দিক:

  • দিনের বেলা ব্লু লাইট মনোযোগ, প্রতিক্রিয়া সময় এবং মুড উন্নত করে।

🔹 নেগেটিভ দিক:

  • বেশি ব্লু লাইট চোখের ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা ও মাইগ্রেন সৃষ্টি করতে পারে।
  • রাতের বেলা বেশি স্ক্রিন দেখলে মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়, ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

কীভাবে ব্লু লাইটের ক্ষতি কমানো যায়?

“নাইট মোড” বা “ব্লু লাইট ফিল্টার” চালু করুন (মোবাইল/কম্পিউটারে)।
Anti-blue light গ্লাস বা স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করুন।
রাতে স্ক্রিন টাইম কমান (বিশেষ করে ঘুমানোর ১-২ ঘণ্টা আগে)।
ব্লু লাইট ব্লকিং অ্যাপ ব্যবহার করুন (যেমন F.lux বা Night Shift)।

আপনার যদি চোখে চাপ বা ঘুমের সমস্যা হয়, তাহলে এসব ব্যবস্থা নিলে উপকার পাবেন!