গলা ব্যথার কারণের ওপর নির্ভর করে উপযুক্ত ওষুধ নির্বাচন করতে হয়। সাধারণত গলা ব্যথা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, অ্যালার্জি, এসিডিটি বা অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে হতে পারে। নিচে সম্ভাব্য কারণ ও ওষুধের তালিকা দেওয়া হলো—

১. ভাইরাসজনিত গলা ব্যথা (সাধারণ ঠান্ডা, ফ্লু ইত্যাদি)

ব্যবস্থা:

  • গরম পানি বা আদা-লেবু মধুর মিশ্রণ পান করুন।
  • বেশি বেশি পানি পান করুন।
  • প্যারাসিটামল (Paracetamol) 500mg (জ্বর বা ব্যথা থাকলে)।
  • এন্টিহিস্টামিন (যেমন ফেক্সোফেনাডিন, লোরাটাডিন) – যদি গলা ব্যথার সাথে অ্যালার্জি বা ঠান্ডা থাকে।
  • গার্গল করার জন্য বিটাডিন গার্গল বা লবণ-পানি গার্গল

২. ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ (যেমন টনসিলাইটিস বা স্ট্রেপ্টোকক্কাল ইনফেকশন)

ব্যবস্থা:

  • গলা লাল হয়ে ফুলে গেলে বা পুঁজ দেখা গেলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে, যেমন:
    • আমোক্সিসিলিন + ক্ল্যাভুলানিক অ্যাসিড (Amoxicillin + Clavulanic Acid)
    • এজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin) (ডাক্তারের পরামর্শে)।
  • ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen) বা ন্যাপ্রোক্সেন (Naproxen) – যদি গলা বেশি ব্যথা করে বা ফোলা থাকে।

৩. এসিডিটির কারণে গলা ব্যথা (Acid Reflux বা GERD)

ব্যবস্থা:

  • প্যান্টোপ্রাজল (Pantoprazole) বা ওমিপ্রাজল (Omeprazole) – খালি পেটে সকালে ১টা করে খান।
  • অতিরিক্ত ঝাল, ভাজাপোড়া ও চা-কফি এড়িয়ে চলুন।

৪. অ্যালার্জির কারণে গলা ব্যথা

ব্যবস্থা:

  • এন্টিহিস্টামিন (যেমন সিট্রিজিন, লোরাটাডিন)
  • ধুলাবালি ও ঠান্ডা পরিবেশ থেকে দূরে থাকুন।

৫. ওষুধ ছাড়াও কিছু করণীয়:

  • গরম পানির গার্গল (লবণ-পানি বা বিটাডিন)।
  • মধু ও আদা চা পান করুন।
  • খুব গরম বা ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন।

⚠️ কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

  • গলা ব্যথা ৫ দিনের বেশি স্থায়ী হলে।
  • প্রচণ্ড জ্বর (১০২°F+) বা শরীরে ব্যথা হলে।
  • গলায় ফোঁড়া বা পুঁজ জমা হলে।
  • শ্বাস নিতে কষ্ট হলে।

❗ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না, কারণ ভুলভাবে খেলে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী হয়ে যেতে পারে।