পৃথিবীতে শীতকাল ও গরমকাল ঘটে পৃথিবীর অক্ষের কাত হয়ে থাকার কারণে এবং সূর্যের প্রতি পৃথিবীর অবস্থান বা দূরত্বের তারতম্যের কারণে। এটি পৃথিবীর ধ্রুবক অক্ষের অনুপ্রবেশ এবং রৌদ্ররশ্মির বিস্তার এর ফলস্বরূপ ঘটে। বিস্তারিত ব্যাখ্যা:

১. পৃথিবীর অক্ষের কাত (Axial Tilt):

পৃথিবী তার অক্ষের উপর ২৩.৫° কাত হয়ে রয়েছে, অর্থাৎ পৃথিবী পুরোপুরি সোজা নয়, বরং এটি কিছুটা ঝুঁকে থাকে। এই কাতের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে সূর্যের রশ্মি ভিন্ন ভিন্নভাবে পৌঁছায় throughout the year। যখন পৃথিবী সূর্যের কাছাকাছি থাকে, তখন সেই সময়ের মধ্যে গরমকাল হয়ে থাকে এবং যখন পৃথিবী সূর্য থেকে কিছুটা দূরে থাকে, তখন শীতকাল হয়।

২. সূর্যের প্রতি পৃথিবীর অবস্থান:

  • গরমকাল: যখন পৃথিবীর এক অক্ষাংশ (হেমিস্ফিয়ার) সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে, তখন সেখানে গরমকাল হয়। সূর্যের রশ্মি সেই অঞ্চলে সরাসরি পৌঁছায় এবং দিনের সময় দীর্ঘ হয়, ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
  • শীতকাল: যখন পৃথিবীর অন্য অক্ষাংশ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে, তখন সেই অঞ্চলে শীতকাল হয়। সূর্যের রশ্মি সেখানে কম কোণে পড়ে এবং দিনের সময়ও ছোট থাকে, যার ফলে তাপমাত্রা কমে যায়।

৩. সূর্যের রশ্মির বিভাজন:

পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সূর্যের রশ্মির তীব্রতা পরিবর্তিত হয়। সূর্য যখন উজ্জ্বলভাবে সরাসরি পৌঁছায়, তখন তাপ বেশি হয় (গরমকাল), এবং যখন সূর্য রশ্মি কম কোণে পড়ে বা পরোক্ষভাবে পৌঁছায়, তখন তাপ কম হয় (শীতকাল)।

এই কারণে পৃথিবীর গতি এবং তার অক্ষের কাত পৃথিবীকে গরম ও শীত মৌসুমে বিভক্ত করে।