সেক্স করার পর ছেলেদের শরীরে কিছু স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। এগুলো প্রাকৃতিক এবং সাময়িক। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

১. হরমোনের পরিবর্তন:

  • অক্সিটোসিন ও প্রোল্যাক্টিন বৃদ্ধি: সেক্সের পর এই হরমোনগুলো বৃদ্ধি পায়, যা আরাম ও তৃপ্তির অনুভূতি দেয়। প্রোল্যাক্টিনের কারণে ক্লান্তি বা ঘুমের প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।
  • টেস্টোস্টেরন স্তর: সেক্সের সময় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ে এবং সেক্সের পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

২. ক্লান্তি এবং রিল্যাক্সেশন:

  • সেক্সের সময় প্রচুর এনার্জি খরচ হয়। এজন্য সেক্সের পর শরীরে ক্লান্তি আসা খুবই স্বাভাবিক।
  • পেশীগুলো শিথিল হয়ে যায় এবং শরীর রিল্যাক্স ফিল করে।

৩. রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন:

  • সেক্সের সময় হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়। সেক্স শেষ হওয়ার পর এগুলো ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

৪. ঘামের প্রবণতা:

  • শারীরিক পরিশ্রমের কারণে সেক্সের পর ঘাম হতে পারে, যা শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৫. মানসিক পরিবর্তন:

  • সন্তুষ্টি ও আরামের অনুভূতি: ডোপামিন নিঃসরণ হয়, যা মনের মধ্যে সুখ ও তৃপ্তির অনুভূতি আনে।
  • কখনো কখনো অপরাধবোধ বা লজ্জা: এটি নির্ভর করে মানসিক অবস্থা ও সম্পর্কের ধরণে।

৬. ঘুমের প্রবণতা:

  • সেক্সের পর অনেক পুরুষের ঘুমানোর ইচ্ছা হয়। এটি মূলত প্রোল্যাক্টিন এবং অক্সিটোসিন হরমোনের কারণে ঘটে।

৭. পুনরায় উত্তেজিত হওয়ার সময় (Refractory Period):

  • সেক্সের পর পুরুষদের শরীর কিছু সময়ের জন্য নতুন করে উত্তেজিত হতে প্রস্তুত থাকে না। একে “Refractory Period” বলা হয়। বয়স ও স্বাস্থ্যের উপর ভিত্তি করে এর দৈর্ঘ্য কম-বেশি হতে পারে।

৮. পানির ঘাটতি:

  • সেক্সের সময় ঘামের কারণে শরীরে পানির ঘাটতি হতে পারে। এজন্য সেক্সের পর পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।

৯. পেশী বা ত্বকে সংবেদনশীলতা:

  • সেক্সের পর শরীরের কিছু অংশে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা তৈরি হতে পারে।

১০. ইমিউন সিস্টেমে ইতিবাচক প্রভাব:

  • গবেষণায় দেখা গেছে, সেক্স ইমিউন সিস্টেমকে সাময়িকভাবে সক্রিয় করে, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

এই পরিবর্তনগুলো সাধারণত স্বাভাবিক এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে। যদি কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।