ইসলামে দাড়ি রাখা মুস্তাহাব (অত্যন্ত প্রিয় এবং সুপারিশকৃত) হিসেবে বিবেচিত। এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত, যা নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজে পালন করেছেন এবং মুসলমানদেরও এটি পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

দাড়ি রাখার বিধান:

  1. নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সুন্নত:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার উম্মতকে দাড়ি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:

“دَارِسُوا اللِّحَاهَ وَفَرِّقُوا” (দারিসু লিহাহা ওয়া ফারিকু)। অর্থাৎ, “দাড়ি রাখ এবং শেভ করা অংশ থেকে আলাদা রাখো।” (সহীহ মুসলিম)

  1. মুসলিমদের জন্য নির্দেশ:

হাদিসে আরও এসেছে:

“পৃথিবীর অন্যান্য জাতির থেকে মুসলমানদের আলাদা হওয়ার লক্ষণ হল দাড়ি রাখা।” (সহীহ বুখারি)

এটি মুসলমানদের জন্য একটি আলাদা পরিচয়ের চিহ্ন হিসেবে বলা হয়েছে, যা তাদের ইসলামী শাসন এবং আদর্শকে প্রতিফলিত করে।

  1. শরিয়ত অনুযায়ী:

ইসলামে দাড়ি রাখা ফরজ নয়, তবে এটি মুস্তাহাব এবং সুন্নত। এর মানে হলো, এটি ঐতিহাসিকভাবে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর চলন, এবং মুসলমানদের মধ্যে তার অনুসরণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু এটি সুন্নত, তাই এটা পালনে উপকারিতা এবং পুরস্কারের আশা করা যায়।

তবে, যদি কেউ কোনো কারণে দাড়ি না রাখে (যেমন স্বাস্থ্যগত কারণে বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে), তার উপর কোনো শাস্তি নেই। কিন্তু যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলামের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দাড়ি না রাখে, তবে এটি তাকে ক্ষতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।

  1. নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য:

দাড়ি রাখার ক্ষেত্রে ইসলামে কোনো নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য উল্লেখ করা হয়নি, তবে সাধারণত সুন্নত হলো দাড়ি ছাটতে না দেয়া এবং এর প্রাকৃতিক বৃদ্ধি রাখা।

  1. মুসলিম সমাজে প্রভাব:

দাড়ি রাখা মুসলিম পুরুষের মধ্যে এক ধরণের সম্মান এবং ইসলামী পরিচয়ের অংশ হিসেবে দেখা হয়। এটি ইসলামী পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়।

উপসংহার:

দাড়ি রাখা ইসলামে মুস্তাহাব এবং সুন্নত। এটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস ছিল এবং মুসলমানদের জন্য এটি অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।