রাসায়নিক বন্ধন হলো সেই শক্তি যা দুটি পরমাণু বা আণু একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করে একত্রিত হতে সাহায্য করে। এটি মৌলিক পদার্থের গঠন এবং বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। রাসায়নিক বন্ধনের ফলে পরমাণুর মধ্যে শক্তির অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক স্থাপিত হয়, যা তাদের যৌথভাবে একটি স্থিতিশীল পরমাণু বা অণু তৈরি করতে সহায়তা করে।
রাসায়নিক বন্ধন মূলত তিনটি প্রকারের হয়ে থাকে:
- আইনিক বন্ধন (Ionic Bond):
এটি দুইটি পরমাণু বা আণুর মধ্যে ঘটে, যেখানে এক পরমাণু ইলেকট্রন হারায় এবং অন্যটি তা গ্রহণ করে। এক পরমাণু ধনাত্মক আধান (ক্যাটায়ন) এবং অন্যটি ঋণাত্মক আধান (অ্যানায়ন) সৃষ্টি করে। এই ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক আধানের মধ্যে আকর্ষণজনিত শক্তি আইনিক বন্ধন তৈরি করে।
উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)।
- কোভ্যালেন্ট বন্ধন (Covalent Bond):
এই বন্ধনে দুটি পরমাণু একে অপরের সাথে ইলেকট্রন ভাগ করে নেয়, যার মাধ্যমে শক্তিশালী যৌথ সম্পর্ক তৈরি হয়। এটি সাধারণত অ-ধাতু উপাদানের মধ্যে ঘটে।
উদাহরণ: জল (H₂O), কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂)।
- ধাতব বন্ধন (Metallic Bond):
ধাতুর পরমাণুর মধ্যে ঘটে, যেখানে পরমাণুগুলো একে অপরের মধ্যে শেয়ার করা ইলেকট্রনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। এই ইলেকট্রনসমূহ পরমাণুগুলির মধ্যে মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারে, যা ধাতুকে শক্তিশালী এবং বৈদ্যুতিকভাবে সংকুচিত করতে সাহায্য করে।
উদাহরণ: তামা (Cu), সোনা (Au)।
এছাড়া কিছু অন্য ধরনের বন্ধনও থাকতে পারে, যেমন হাইড্রোজেন বন্ধন, যা বিশেষ কিছু পরমাণুর মধ্যে ঘটে।