আইসোটোপ হলো এক ধরনের পরমাণু যা একই মৌলের হলেও তাদের নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন থাকে। ফলে তাদের পারমাণবিক ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়, কিন্তু প্রোটনের সংখ্যা (বা পারমাণবিক সংখ্যা) একই থাকে।

উদাহরণ:

  1. হাইড্রোজেন আইসোটোপ:

প্রোটিয়াম (¹H): কোনো নিউট্রন নেই।

ডিউটেরিয়াম (²H): ১টি নিউট্রন।

ট্রাইটিয়াম (³H): ২টি নিউট্রন।

  1. কার্বন আইসোটোপ:

কার্বন-১২ (¹²C): ৬ প্রোটন ও ৬ নিউট্রন।

কার্বন-১৩ (¹³C): ৬ প্রোটন ও ৭ নিউট্রন।

কার্বন-১৪ (¹⁴C): ৬ প্রোটন ও ৮ নিউট্রন।

বৈশিষ্ট্য:

  1. রাসায়নিক গুণাবলি: একই মৌলের আইসোটোপগুলোর রাসায়নিক ধর্ম একই থাকে, কারণ তাদের প্রোটন ও ইলেকট্রনের সংখ্যা সমান।
  2. ভৌত গুণাবলি: নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন হওয়ায় তাদের ভর এবং ভৌত বৈশিষ্ট্য কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
  3. ব্যবহার:

রেডিওআইসোটোপ চিকিৎসায়, যেমন ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

কার্বন-১৪ ডেটিং-এর মাধ্যমে পুরাতাত্ত্বিক বস্তুগুলোর বয়স নির্ধারণ করা হয়।

সংজ্ঞা:

আইসোটোপ হলো একই মৌলের এমন পরমাণু যাদের পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন।