উক্তিটি আপেক্ষিকতার তত্ত্বের মূল ধারণার সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি বোঝায় যে, কোনো বস্তু বা ঘটনার গতি কিংবা স্থিতি নির্ধারণের জন্য একটি নির্দিষ্ট নির্গমন বা প্রেক্ষিত (frame of reference) প্রয়োজন। এটি পরম বা চূড়ান্ত নয়; বরং নির্দিষ্ট প্রেক্ষিতের উপর নির্ভরশীল।

ব্যাখ্যা:

  1. সকল গতিই অপেক্ষিক:
    কোনো বস্তুর গতি মাপা হয় অন্য কোনো বস্তুর তুলনায়। উদাহরণস্বরূপ, একটি ট্রেনে বসে থাকা ব্যক্তির কাছে একই ট্রেনের একটি চেয়ার স্থির মনে হবে। কিন্তু ট্রেনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির কাছে ট্রেনের চেয়ারের গতি ট্রেনের গতির সমান হবে। অর্থাৎ, গতি নির্ভর করে প্রেক্ষিতের উপর।
  2. সকল স্থিতিই আপেক্ষিক:
    স্থিতি (stability) বা স্থির অবস্থাও আপেক্ষিক। যদি পৃথিবীকে স্থির ধরা হয়, তাহলে আমরা স্থির। কিন্তু মহাবিশ্বের প্রেক্ষিতে পৃথিবী নিজেই ঘূর্ণায়মান ও গতিশীল। তাই স্থিতি কোনো চূড়ান্ত বিষয় নয়।
  3. পরম নয় কোনো গতি, পরম নয় কোনো স্থিতি:
    আপেক্ষিকতার তত্ত্ব অনুসারে, মহাবিশ্বে কোনো নির্দিষ্ট স্থির বা গতিশীল বিন্দু নেই যা চিরন্তন ও পরম। গতি ও স্থিতি সবসময় নির্ভর করে নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষকের অবস্থানের উপর।

সারকথা:

এই বক্তব্য মূলত আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বের সারমর্ম তুলে ধরে, যা বলে যে মহাবিশ্বে কোনো বস্তু বা গতির পরম অবস্থা নেই। সমস্ত কিছুই নির্দিষ্ট প্রেক্ষিতের উপর নির্ভরশীল।