ভাইরাসকে জীব ও জড়ের যোগসূত্র বলা হয় কারণ এটি এমন বৈশিষ্ট্য ধারণ করে যা জীবিত ও জড় বস্তু উভয়ের সাথে সম্পর্কিত। নিচে এর কারণ ব্যাখ্যা করা হলো:
জীবিত বৈশিষ্ট্য:
- প্রজনন ক্ষমতা: ভাইরাস একটি জীবিত কোষে প্রবেশ করলে নিজের অনুলিপি তৈরি করতে পারে, যা জীবিত জীবের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
- জিনগত উপাদান: ভাইরাসের ভেতরে ডিএনএ (DNA) বা আরএনএ (RNA) থাকে, যা জীবিত জীবের জিনগত উপাদানের মতো।
- পরিবর্তনশীলতা: ভাইরাস মিউটেশন বা বিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হতে পারে, যা জীবিত জীবের বৈশিষ্ট্য।
জড় বৈশিষ্ট্য:
- অকোষীয় গঠন: ভাইরাসের কোনো কোষ নেই। এটি শুধুমাত্র একটি প্রোটিনের খোলস (capsid) এবং জিনগত উপাদান নিয়ে গঠিত।
- উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে নিষ্ক্রিয়: ভাইরাস জীবিত কোষের বাইরে সক্রিয় নয়; এটি কেবলমাত্র একটি “জড় বস্তু” হিসেবে থাকে এবং কোনো জীবন ক্রিয়া প্রদর্শন করে না।
- নিজে থেকে বৃদ্ধি বা শক্তি উৎপাদন অক্ষমতা: ভাইরাস নিজের শক্তি উৎপন্ন করতে পারে না বা কোষের মতো কোনো কার্যকলাপ পরিচালনা করতে পারে না।
সংক্ষেপে:
ভাইরাস জীব ও জড়ের মধ্যে একটি মধ্যবর্তী অবস্থা ধারণ করে। এটি কোষের ভেতরে প্রবেশ করার আগে জড় বস্তু হিসেবে আচরণ করে, কিন্তু কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর জীবনের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। এই কারণেই ভাইরাসকে জীব ও জড়ের যোগসূত্র বলা হয়।