বিশেষজ্ঞরা গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেন যে, একজন মহিলার সবচেয়ে উর্বর সময়কালে প্রতিদিন বা একদিন অন্তর যৌনমিলন করা উচিত। এই উর্বর সময়টি হল ডিম্বাণু নির্গমনের আগের ১-২ দিন এবং ডিম্বাণু নির্গমনের দিন।

সিডিসি-এর মতে, বেশিরভাগ মানুষ যারা গর্ভধারণের চেষ্টা করেন, তারা প্রথম বছর বা তার মধ্যেই সফল হন।

তবে, কিছু দম্পতির জন্য গর্ভধারণ করতে সময়, প্রচেষ্টা এবং ধৈর্য প্রয়োজন হতে পারে।

যৌনমিলনের পর কতদিনে গর্ভধারণ হয়?

গর্ভধারণ ঘটে যখন শুক্রাণু দ্বারা ডিম্বাণুটি নিষিক্ত হয়, যা যৌনমিলনের ৬-৭ দিন পর হতে পারে।

নিষিক্ত ডিম্বাণু (জাইগোট) পরে গর্ভাশয়ের প্রাচীরে প্রতিস্থাপিত হয়। এটি সাধারণত যৌনমিলনের ১০-১২ দিন পর ঘটে। এ সময় থেকেই গর্ভধারণ শুরু হয় এবং গর্ভধারণ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসৃত হয়।

দ্রুত গর্ভধারণ করার উপায়

ডিম্বাণু নির্গমনের সময় নির্ধারণ করুন

ডিম্বাণু নির্গমনের সময় জানলে এবং সে সময় যৌনমিলন করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে।

ডিম্বাণু নির্গমনের সময় একটি পরিণত ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে নির্গত হয়। এটি ২৮ দিনের ঋতুচক্রে সাধারণত ১২-১৪ তম দিনে ঘটে, যেখানে প্রথম দিন হল মাসিকের প্রথম দিন। ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার পর এটি ডিম্বনালিতে প্রবেশ করে এবং সেখানে ১২-২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নিষিক্ত হতে পারে। শুক্রাণু যৌনমিলনের পর মহিলার প্রজনন অঙ্গে ৫ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। ডিম্বাণু নির্গমনের সময় শুক্রাণুর উপস্থিতি গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায়।

বাড়িতে ডিম্বাণু নির্গমনের কিট ব্যবহার করে ডিম্বাণু নির্গমনের সময় নির্ধারণ করা যেতে পারে। এছাড়াও, ডিম্বাণু নির্গমনের সময় নীচের পরিবর্তনগুলির মাধ্যমে বোঝা যেতে পারে:

  • যোনি নিঃসরণ: যা পরিষ্কার, প্রসারিত এবং ডিমের সাদার মতো হয়।
  • শরীরের বেসাল তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পায় (৯৬-৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের তুলনায় অর্ধ ডিগ্রি বেশি)।
  • হালকা পেট বা তলপেটের ব্যথা।
  • স্তনের কোমলতা এবং যৌন আগ্রহ বৃদ্ধি।

নিয়মিত যৌনমিলন করুন

বিশেষজ্ঞরা বলেন, দ্রুত গর্ভধারণের জন্য ডিম্বাণু নির্গমনের আগে এবং পরে উর্বর সময়কালে প্রতিদিন বা একদিন অন্তর যৌনমিলন করা সবচেয়ে ভালো।

শুক্রাণু-বান্ধব লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন

কিছু লুব্রিকেন্টে শুক্রাণু-নাশক উপাদান থাকতে পারে, যা শুক্রাণুর গতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই সম্ভব হলে এ ধরনের লুব্রিকেন্ট এড়িয়ে চলুন।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখুন

  • পুষ্টিকর এবং সুষম খাবার খান।
  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল গ্রহণ এড়িয়ে চলুন।
  • ক্যাফেইন গ্রহণ সীমিত করুন।
  • মানসিক চাপ এবং অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।