অন্ডকোষ বা টেস্টিস ভালো রাখা এবং এর স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে কিছু অভ্যাস ও যত্নের প্রয়োজন হয়। সঠিক জীবনধারা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অনুসরণ করলে অন্ডকোষের সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
অন্ডকোষ ভালো রাখার টিপস:
১. স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন:
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: শরীর হাইড্রেটেড থাকলে রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে, যা অন্ডকোষের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন: পুষ্টিকর খাবার, যেমন ফল, শাকসবজি, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খান।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাস করতে পারে এবং টেস্টিসের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
২. সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখুন:
অন্ডকোষ শরীরের তুলনায় কিছুটা ঠান্ডা তাপমাত্রায় থাকে।
কঠিন পোশাক এড়িয়ে চলুন: খুব টাইট পোশাক বা অন্তর্বাস ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত তাপ এড়িয়ে চলুন: দীর্ঘ সময় গরম পানিতে স্নান বা ল্যাপটপ কোলে রেখে কাজ করা এড়িয়ে চলুন।
৩. সঠিক ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:
নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন এবং প্রতিদিন গোসল করুন।
কোনো ধরনের সংক্রমণ বা জ্বালাপোড়ার লক্ষণ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. শারীরিক সক্রিয়তা বজায় রাখুন:
নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে।
তবে ভারি ওজন তুলতে গেলে সতর্ক থাকুন, যাতে পেশীতে চাপ পড়ে অন্ডকোষে সমস্যা না হয়।
৫. ধূমপান ও মাদক এড়িয়ে চলুন:
ধূমপান, মদ্যপান, বা অন্যান্য মাদক গ্রহণ টেস্টোস্টেরনের মাত্রা এবং শুক্রাণুর মানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৬. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন:
বছরে অন্তত একবার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করানো ভালো।
কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা (যেমন: ফোলাভাব, ব্যথা, লাম্প) লক্ষ্য করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন:
মানসিক চাপ টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে, যা টেস্টিসের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে।
যোগব্যায়াম বা মেডিটেশনের মাধ্যমে চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
বেশি খেয়াল রাখার প্রয়োজন যখন:
যদি অন্ডকোষে ব্যথা, ফোলাভাব বা লাম্প অনুভব করেন।
যদি শুক্রাণুর মান নিয়ে চিন্তিত হন বা প্রজনন সমস্যা দেখা দেয়।
সুস্থ জীবনধারা অনুসরণ করলে অন্ডকোষ দীর্ঘ সময় সুস্থ রাখা সম্ভব। যদি কোনো সন্দেহ বা সমস্যা হয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।