সেক্স এডুকেশন (Sex Education) বলতে যৌনতা, প্রজনন, সম্পর্ক, শরীরের গঠন, যৌন স্বাস্থ্য, সম্মতি, নিরাপদ যৌনতা, লিঙ্গ পরিচয় ও আবেগিক সুস্থতা সম্পর্কে সঠিক ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অর্জন করাকে বোঝায়।

সেক্স এডুকেশনের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:

  1. শারীরিক গঠন ও পরিবর্তন: বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের শরীরে কী পরিবর্তন আসে এবং সেগুলো কিভাবে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে হয়।
  2. প্রজনন ও গর্ভধারণ: নারী ও পুরুষের প্রজনন প্রক্রিয়া, গর্ভধারণ, গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা ইত্যাদি।
  3. নিরাপদ যৌনতা: যৌন সংক্রামক রোগ (STD) ও অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এড়ানোর উপায়।
  4. সম্মতি ও সম্পর্ক: সম্মতির গুরুত্ব, সুস্থ সম্পর্ক গঠনের নীতি, অবাঞ্ছিত চাপ বা নির্যাতন চেনার উপায়।
  5. ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা: যৌন স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা।
  6. লিঙ্গ পরিচয় ও যৌন প্রবৃত্তি: মানুষের বিভিন্ন লিঙ্গ পরিচয় ও যৌন প্রবৃত্তি বোঝা এবং সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।
  7. সোশ্যাল ও ডিজিটাল নিরাপত্তা: অনলাইনে নিরাপদ থাকার উপায় ও ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা।

সঠিক সেক্স এডুকেশন মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করে, কুসংস্কার কমায় এবং দায়িত্বশীল ও সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য সহায়ক হয়।