কোরআন শরীফ ভুল তিলাওয়াত করার ক্ষেত্রে বিষয়টি নির্ভর করে ভুলের ধরণ ও প্রভাবের ওপর।
১. ছোটখাটো ভুল (তাজবীদের ভুল)
যদি কেউ উচ্চারণগত ছোটখাটো ভুল করে (যেমন হরকত বা মাখরাজে কিছু ভুল হয়), তাহলে সাধারণত তা মারাত্মক নয়। তবে চেষ্টা করা উচিত সহীহ তিলাওয়াত শেখার, কারণ কোরআন সুন্দর ও শুদ্ধভাবে পড়ার প্রতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) গুরুত্ব দিয়েছেন।
২. অর্থ বিকৃত হয় এমন ভুল
যদি ভুলটি অর্থ পরিবর্তন করে দেয়, তাহলে এটি গুরুতর হতে পারে। যেমন:
- “إياك نعبد” (আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি) → যদি কেউ ভুল করে “إياك نعبدُ” (তুমি আমাদের ইবাদত করো) পড়ে, তাহলে অর্থ সম্পূর্ণ বদলে যায়।
- কোরআনের কিছু শব্দে ভুল করলে অর্থ কুফরির দিকে চলে যেতে পারে, যা মারাত্মক গুনাহ।
৩. ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল পড়া
যদি কেউ জেনেবুঝে ভুল পড়ে বা বিকৃতভাবে পড়ে, তাহলে এটি গুনাহ এবং কখনো কখনো এটি কুফরি হতে পারে। আল্লাহ বলেন:
“যারা আমার আয়াতসমূহ বিকৃত করে, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা আল-আ’রাফ: ১৭৭)
করণীয়
- কোরআন শুদ্ধভাবে পড়ার চেষ্টা করা উচিত।
- ভুল হলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া ও শুদ্ধ করার চেষ্টা করা উচিত।
- যদি কোনো ভুল হয়, তবে আল্লাহ তা মাফ করে দেন, কারণ তিনি দয়ালু ও ক্ষমাশীল।
রাসূল (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি কোরআন পড়তে কষ্ট অনুভব করে (কারণ সে শুদ্ধভাবে পড়তে পারে না), তার জন্য দ্বিগুণ সওয়াব রয়েছে।” (বুখারী, মুসলিম)
সুতরাং, ভুল হলে নিরাশ না হয়ে শুদ্ধ করার চেষ্টা করা উচিত।