ইসলামে ইচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপাত (হস্তমৈথুন) করা হারাম হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ এটি শরীর ও মনকে দুর্বল করে এবং বিবাহপূর্ব ও বৈবাহিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, অনিচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপাত হলে গুনাহ হয় না

অনিচ্ছাকৃত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি:

  1. নিদ্রায় স্বপ্নদোষ হলে গুনাহ নেই। এটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া।
  2. কোনো কারণ ছাড়াই (যেমন উত্তেজিত না হয়েও) বীর্যপাত হলে তাও গুনাহ নয়
  3. শরীর পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে লিঙ্গ পরিষ্কার করতে গিয়ে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে বীর্য বের হয়, তাও গুনাহ নয়

তবে, ইচ্ছাকৃতভাবে লিঙ্গ মালিশ বা উত্তেজিত করার ফলে বীর্যপাত হলে এটি হস্তমৈথুনের পর্যায়ে পড়ে, যা ইসলামে নিষিদ্ধ। এক্ষেত্রে, আত্মনিয়ন্ত্রণ করা ও বিয়ের মাধ্যমে হালাল উপায়ে চাহিদা পূরণ করাই উত্তম।

করণীয়:

  • যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটে, তাহলে শুধু গোসল (গোসল জানাবাত) করে পবিত্র হওয়া যথেষ্ট
  • বারবার এমন হলে উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজতে হবে, যেমন—পবিত্র চিন্তা করা, শরীর চর্চা করা, ব্যস্ত থাকা, এবং ইসলামিক নিয়ম-কানুন মেনে চলা।
  • যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটে, তাহলে আল্লাহর কাছে তওবা করা উচিত এবং ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা ভালো।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তাওফিক দিন।