হ্যাঁ, সাধারণত মাসিকের সময় সহবাস করা নিরুৎসাহিত করা হয়, তবে এটি পুরোপুরি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। কিছু ধর্মীয়, স্বাস্থ্যগত ও চিকিৎসাগত কারণে এটি এড়িয়ে চলা ভালো।
কেন মাসিকের সময় সহবাস এড়ানো ভালো?
১. স্বাস্থ্যগত কারণ
❌ সংক্রমণের ঝুঁকি:
- এই সময় জরায়ুর মুখ (cervix) কিছুটা খোলা থাকে, ফলে ব্যাকটেরিয়া সহজে প্রবেশ করতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
- ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) এবং ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস (BV) হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
❌ অস্বস্তি ও অস্বাভাবিকতা:
- রক্তপাত ও ব্যথার কারণে অনেকেই স্বস্তি অনুভব করেন না।
- গন্ধ ও পরিচ্ছন্নতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. চিকিৎসাগত কারণ
❌ হরমোনের পরিবর্তন ও শারীরিক অস্বস্তি:
- কিছু নারীর জন্য এই সময় যৌনমিলন পেলভিক ব্যথা বা ক্র্যাম্প বাড়িয়ে দিতে পারে।
- হরমোনের ওঠানামা শরীরকে বেশি সংবেদনশীল করে তোলে।
৩. ধর্মীয় কারণ
- ইসলামে:
- মাসিকের সময় সহবাস করা হারাম (নিষিদ্ধ) বলে বিবেচিত হয়।
- কুরআনে (সূরা বাকারা ২:২২২) বলা হয়েছে— “তারা (নারীরা) অপবিত্র অবস্থায় থাকাকালীন তাদের কাছ থেকে দূরে থাক এবং পবিত্র হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে সহবাসে যেয়ো না।”
- খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মেও মাসিককালে যৌনমিলন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
যদি মাসিকের সময় সহবাস করতেই চান:
✅ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন – কনডম ব্যবহার করুন এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন।
✅ হালকা দিনগুলো বেছে নিন – প্রথম ২-৩ দিন রক্তপাত বেশি হয়, শেষের দিনগুলো তুলনামূলক নিরাপদ।
✅ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন – যদি আপনার বা সঙ্গীর যৌনরোগ থাকে, তবে এটি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
উপসংহার
স্বাস্থ্য ও ধর্মীয় দিক থেকে এটি এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে যদি দুইজনেরই স্বাচ্ছন্দ্য থাকে এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকে, তাহলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে সাবধানতার সাথে করা যেতে পারে।