মেয়েদের স্তন ছোট বা বড় হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। স্তনের আকার নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা পালন করে জিন (জেনেটিক ফ্যাক্টর), হরমোনাল পরিবর্তন, এবং শারীরিক অবস্থা।
১. জেনেটিক ফ্যাক্টর (Genetics):
- স্তনের আকার মূলত উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জিনের উপর নির্ভর করে। যদি মা বা বোনের স্তন বড় বা ছোট হয়, তাহলে সেই একই আকারের স্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. হরমোনাল পরিবর্তন:
- এস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন নামক হরমোনের কারণে স্তনের বৃদ্ধি ঘটে। এসময় স্তন এর ভিতরের গ্রন্থিগুলি বৃদ্ধি পায় এবং স্তনের আকার বড় হতে পারে। গর্ভাবস্থা, ঋতুস্রাবের সময়, প্রজনন স্বাস্থ্য বা গর্ভধারণের সময় স্তনের আকার পরিবর্তিত হতে পারে।
৩. বয়স এবং শারীরিক পরিবর্তন:
- বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্তনের আকার পরিবর্তন হতে পারে। সাধারণত, প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে (১২-১৮ বছর) স্তন পূর্ণভাবে বৃদ্ধি পায়।
- প্রজনন বা গর্ভাবস্থা: গর্ভধারণের সময় স্তন বড় হতে পারে, কারণ গর্ভধারণের কারণে হরমোনের পরিবর্তন হয় এবং স্তনে দুধ উৎপাদনকারী গ্রন্থিগুলোর বৃদ্ধি ঘটে।
- মেনোপজ: মেনোপজ (মাসিক বন্ধ হওয়া) হলে স্তনের আকার ছোট হতে পারে, কারণ হরমোনের পরিমাণ কমে যায়।
৪. শরীরের ওজন:
- স্তন মূলত ফ্যাট টিস্যু (চর্বি) দ্বারা তৈরি, তাই শরীরের মোট ওজন এবং চর্বির পরিমাণ স্তনের আকারে প্রভাব ফেলতে পারে। অধিক চর্বি থাকার কারণে স্তন বড় হতে পারে এবং কম চর্বি থাকার কারণে স্তন ছোট হতে পারে।
৫. অন্য শারীরিক বা মেডিক্যাল কারণ:
- কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থা বা চিকিৎসা (যেমন হরমোনাল ডিসঅর্ডার) স্তনের আকার পরিবর্তন করতে পারে।
যতটা সম্ভব, প্রতিটি মানুষের শরীরের গঠন আলাদা, এবং স্তনের আকার স্বাভাবিক পরিবর্তন হতে পারে। যদি স্তন আকার নিয়ে উদ্বেগ বা সমস্যা থাকে, তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।