প্রথম সিজারের (C-section) ২ বছর ৯ মাস পর আবার সিজার লাগবে কিনা, তা নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর। সাধারণত, এই সময়ের মধ্যে আপনার শরীর স্বাভাবিক প্রসবের (Vaginal Birth After Cesarean – VBAC) জন্য প্রস্তুত হতে পারে, তবে এটি নির্ভর করবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর।
১. আপনার আগের সিজারের কারণ:
✅ যদি আগেরবার কোনো জটিলতা (যেমন প্ল্যাসেন্টার সমস্যা, বেবির অবস্থান বা জরায়ুর দুর্বলতা) থাকত, তবে ডাক্তার আবার সিজার করতে পরামর্শ দিতে পারেন।
✅ যদি আগেরবার শুধুমাত্র শিশুর অবস্থানের কারণে সিজার হয়ে থাকে এবং এবার কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে নরমাল ডেলিভারির সুযোগ থাকতে পারে।
২. আপনার সিজারের ক্ষত কতটা ভালো হয়েছে?
✅ সাধারণত ২ বছর বা তার বেশি সময় পার হলে, জরায়ুর ক্ষত ভালোভাবে সেরে যায়, যা VBAC-এর সম্ভাবনা বাড়ায়।
✅ তবে, জরায়ুর ক্ষত খুব পাতলা বা দুর্বল হলে আবার সিজার করতেই হতে পারে।
৩. গর্ভাবস্থায় জটিলতা আছে কিনা:
✅ যদি কোনো ঝুঁকি থাকে (যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, প্ল্যাসেন্টার সমস্যা, শিশুর আকার বড় ইত্যাদি), তাহলে ডাক্তার আবার সিজার করতে পরামর্শ দিতে পারেন।
✅ যদি গর্ভাবস্থায় কোনো বড় সমস্যা না থাকে এবং বেবির অবস্থান ও মায়ের অবস্থা ভালো থাকে, তাহলে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করা যেতে পারে।
৪. ডাক্তার কী বলছেন?
আপনার গর্ভকালীন সময়ের শেষ দিকে ডাক্তার আল্ট্রাসোনোগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন যে, নরমাল ডেলিভারি সম্ভব কিনা।
কী করবেন?
✅ একজন অভিজ্ঞ গাইনি ডাক্তার দেখান এবং VBAC সম্পর্কে আলোচনা করুন।
✅ গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চেকআপ করান এবং ডাক্তার কী পরামর্শ দেন তা অনুসরণ করুন।
✅ স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
উপসংহার:
২ বছর ৯ মাস পর স্বাভাবিক প্রসবের (VBAC) সম্ভাবনা থাকে, তবে এটি নির্ভর করবে আগের সিজারের কারণ, শরীরের বর্তমান অবস্থা এবং গর্ভাবস্থায় জটিলতা আছে কিনা তার ওপর। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে ভালো উপায়।