“হুতোম প্যাঁচার নকশা” গ্রন্থে লেখক কালীপ্রসন্ন সিংহ দুর্গোৎসবের যে পরিচয় দিয়েছেন, তা হলো— দুর্গোৎসব একটি সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় উত্সব, যা বাংলার সমাজে ঐতিহ্যগতভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি মূলত মায়ের আগমনের আনন্দে উৎসাহিত এবং একত্রিত হওয়া একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। কালীপ্রসন্ন সিংহের মতে, দুর্গোৎসব কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি সামাজিক মিলনমেলারও একটি অন্যতম মাধ্যম।
তারা এই উত্সবের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে স্নেহ ও সহানুভূতির সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতেন। দুর্গোৎসবের আয়োজন শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা বা পূজার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি বাংলার মানুষের জীবনধারা, আনন্দ, বিনোদন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চিহ্নিত হতো।
কালীপ্রসন্ন সিংহের বর্ণনায় দুর্গোৎসব ছিল সমাজের নিম্নস্তরের মানুষদেরও একত্রিত হওয়ার একটি উৎসব, যেখানে শ্রেণি, ধর্ম ও অবস্থার পার্থক্য ভুলে গিয়ে সবাই একসাথে আনন্দে মেতে উঠত।