স্ত্রীর বুকের দুধ কমে গেলে বা শুকিয়ে গেলে কিছু প্রাকৃতিক ও কার্যকরী উপায়ে পুনরায় দুধ আসতে সাহায্য করা যায়। এর জন্য সঠিক পদ্ধতি, পুষ্টিকর খাবার ও স্তনপান করানোর অভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ।
১. শিশুকে বেশি বেশি স্তনপান করান
✅ শিশুকে নিয়মিত ও ঘন ঘন (প্রতি ২-৩ ঘণ্টায়) স্তনপান করাতে হবে।
✅ শিশুর চাহিদা অনুযায়ী দুধ উৎপাদন বাড়ে, তাই বারবার দুধ খাওয়ানো জরুরি।
✅ যদি শিশুকে সরাসরি খাওয়ানো সম্ভব না হয়, তবে হ্যান্ড এক্সপ্রেশন বা ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করুন।
২. বুকের দুধ বাড়ানোর খাবার
🥜 প্রোটিন ও পুষ্টিকর খাবার: দুধ, ডিম, বাদাম, মুরগি, মাছ, মাংস।
🍲 সবুজ শাক-সবজি: পালং শাক, কলমি শাক, মিষ্টি কুমড়া।
🌾 শর্করা ও ফাইবারযুক্ত খাবার: ওটস, লাল চাল, ভুট্টা, মুসুর ডাল।
🌰 বাদাম ও বীজ: কাজু বাদাম, আমন্ড, তিলের বীজ, মেথি বীজ।
🍼 দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: গরম দুধ, দই, ছানা।
🍉 জলযুক্ত ফলমূল: পেঁপে, তরমুজ, আঙ্গুর, কমলা।
৩. পর্যাপ্ত পানি ও তরল পান করুন
💧 দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
🥛 গরম দুধ বা স্যুপ পান করলে দুধ আসতে সাহায্য করে।

৪. মানসিক চাপ কমান ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
😴 ঘুম ও বিশ্রাম না পেলে দুধ কমে যেতে পারে।
🧘♀️ রিলাক্সেশন বা ধ্যান করলে প্রোল্যাকটিন হরমোন বেড়ে দুধ তৈরি হয়।
৫. কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
🌿 মেথি বীজ: ১ চা চামচ মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে দুধ বাড়ে।
🌾 কালোজিরা ও মধু: গরম পানির সঙ্গে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
☕ দুধ ও খেজুর: প্রতিদিন দুধের সঙ্গে খেজুর খেলে বুকের দুধ বাড়তে পারে।
৬. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন যদি:
❌ স্তনের মধ্যে ব্যথা, শক্ত হয়ে যাওয়া বা ফোলাভাব দেখা দেয়।
❌ এক মাস চেষ্টা করার পরও দুধ না আসে।
❌ যদি হরমোনের কারণে সমস্যা হয় (যেমন থাইরয়েড বা ডায়াবেটিস)।
সঠিক যত্ন নিলে বুকের দুধ পুনরায় বাড়ানো সম্ভব। তবে দ্রুত দুধ বাড়ানোর জন্য শিশুকে বেশি বেশি দুধ খাওয়ানোই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।