সর্দি-কাশি সাধারণত ভাইরাসজনিত কারণে হয় এবং সাধারণত ৫-৭ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য কিছু কার্যকর উপায় অনুসরণ করতে পারেন—
১. গরম পানীয় পান করুন
✅ গরম পানি, আদা-লেবুর চা, মধু-মিশ্রিত গরম পানি কফ ও গলার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
✅ মুরগির স্যুপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং গলা শান্ত করে।
২. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
✅ ঘুম পর্যাপ্ত না হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, তাই কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি।
৩. ভাপ নিন (স্টিম ইনহেলেশন)
✅ গরম পানির ভাপ নিলে নাক পরিষ্কার হয় ও শ্বাস নিতে সুবিধা হয়।
✅ গরম পানিতে অল্প ইউক্যালিপটাস অয়েল বা পুদিনা পাতা দিলে আরও কার্যকর হয়।
৪. গার্গল করুন (কুলিকুচি করুন)
✅ গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলার ব্যথা ও কাশি কমে যায়।
✅ দিনে ২-৩ বার করলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
৫. প্রচুর পানি পান করুন
✅ শরীর হাইড্রেটেড থাকলে শুকনো কাশি ও গলার খুশখুশে ভাব কমে।
৬. মধু ও কালোজিরা খান
✅ রাতে ঘুমানোর আগে ১ চামচ মধু খেলে কাশি কমে এবং ঘুম ভালো হয়।
✅ কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৭. খাবারের দিকে খেয়াল রাখুন
✅ ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাবার (কমলা, লেবু, আমলকি) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
✅ মসলাযুক্ত গরম খাবার (হালকা ঝাল স্যুপ বা খিচুড়ি) গলা পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
✅ দুগ্ধজাত খাবার (যেমন দুধ) কিছু ক্ষেত্রে কফ বাড়াতে পারে, তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো।
৮. ওষুধ প্রয়োজনে নিন
✅ বেশি জ্বর, গলা ব্যথা বা সর্দি হলে প্যারাসিটামল (নাপা/সেটাপ্রিন) খেতে পারেন।
✅ অতিরিক্ত কাশি হলে এন্টি-টাসিভ সিরাপ (যেমন তুলসী বা ডেক্সট্রোমেথরফানযুক্ত সিরাপ) নিতে পারেন।
✅ যদি সর্দি বেশি জমে যায়, তাহলে এন্টিহিস্টামিন (যেমন সিট্রিজিন বা ফেক্সোফেনাডিন) খাওয়া যেতে পারে।
⚠ যদি সর্দি-কাশি ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, শ্বাসকষ্ট হয়, বা কফের সঙ্গে রক্ত আসে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান।