লাইটিক চক্র (Lytic Cycle) হল ভাইরাসের একটি জীবনচক্রের ধাপ, যার মাধ্যমে ভাইরাস তার আয়োজক কোষের মধ্যে প্রবেশ করে, এবং কোষটি ধ্বংস করার মাধ্যমে নতুন ভাইরাস কণিকা তৈরি করে। এটি একটি ভাইরাসের প্রজনন প্রক্রিয়া, যা ভাইরাসের নিজস্ব জেনেটিক উপাদান দ্বারা কোষের মেকানিজম দখল করে এবং ভাইরাসের নতুন কণিকা তৈরি করে।

লাইটিক চক্রের ধাপসমূহ:

  1. অ্যাডহেশন (Attachment):

ভাইরাস তার বাহ্যিক প্রোটিনের মাধ্যমে কোষের বাইরের দিকের বিশেষ রিসেপ্টরের সাথে যুক্ত হয়।

  1. পেনেট্রেশন (Penetration):

ভাইরাসটি কোষে প্রবেশ করে এবং এর জেনেটিক উপাদান (DNA বা RNA) কোষের সাইটোপ্লাজমে মুক্ত হয়।

  1. প্রতিলিপি (Replication):

ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান কোষের মেকানিজম ব্যবহার করে তার নিজস্ব উপাদান তৈরি করতে শুরু করে। কোষটি ভাইরাসের ডিএনএ বা আরএনএ কপি করতে এবং ভাইরাস প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে।

  1. সংযোজন (Assembly):

ভাইরাসের নতুন কণিকা তৈরি হয়। ভাইরাসের নতুন প্রোটিন এবং জেনেটিক উপাদান একত্রিত হয়ে নতুন ভাইরাস কণিকা তৈরি করে।

  1. রিলিজ (Release):

নতুন ভাইরাস কণিকা কোষের বাইরের দিকে বের হয়ে আসে, এবং কোষটি সাধারণত ধ্বংস হয়ে যায়। ভাইরাসগুলো নতুন কোষে সংক্রমণ ঘটাতে পারে এবং এই চক্র আবার শুরু হতে থাকে।

লাইটিক চক্রের বৈশিষ্ট্য:

এই চক্রের শেষে কোষটি ধ্বংস হয়ে যায়, কারণ ভাইরাসগুলি কোষের অভ্যন্তর থেকে বের হয়ে যায় এবং কোষটি অকার্যকর হয়ে পড়ে।

লাইটিক চক্রটি দ্রুত হয় এবং এতে অনেক নতুন ভাইরাস কণিকা তৈরি হয়।

লাইটিক চক্রটি কিছু ভাইরাসের প্রজনন পদ্ধতি, এবং এর বিপরীতে কিছু ভাইরাসের লিসোজেনিক চক্র থাকে, যা কোষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে এবং পরবর্তী সময়ে লাইটিক চক্রে পরিণত হতে পারে।