সংক্ষিপ্ত সারাংশ
‘রাহা’ (Raha) একটি আরবি নারীসন্তানের নাম, যা R–H–A (ر-و-ح) পর্য়ায়বাচক শিকড় থেকে উদ্ভূত। ইসলামিক প্রেক্ষাপটে এর অর্থ “শান্তি”, “বিশ্রাম” এবং “মনোকান্তি”–যা কোরআনে ঐতিহাসিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি সরাসরি কোরআনিক শব্দ না হলেও, একই শিকড়ের বিভিন্ন আকার (যেমন رَاحَة ‘রাহাত’, رَوْح ‘রাওহ’) কোরআনে এবং ইসলামী সাহিত্যেও পাওয়া যায়।
১. উৎপত্তি ও অভিধানিক ব্যুৎপত্তি
- ভাষা ও শিকড়: আরবি ‘রাহা’ শব্দটি رَاحَة (rāḥah) – “বিশ্রাম” বা “সান্ত্বনা” অর্থে ব্যবহৃত ফরম থেকে নামমাত্র নেওয়া, যেখানে শিকড় র-و-ح (R–W–H) বিদ্যমান ।
- আব্দানি ব্যাখ্যা:
- মাআনির-ই–আলমাআনি অনুযায়ী: “طمأنينة (তোম়আনীনাহ)”–অর্থাৎ মনোভীরাম এবং “استقرار (ইস্তিকরার)”–অর্থাৎ স্থিতিশীলতা ।
- QuranicNames.com: “rest”, “comfort”, “peace of mind” হিসেবে সংজ্ঞায়িত ।
২. ইসলামিক ও কোরআনিক প্রেক্ষাপট
- কোরআনিক উদাহরণ: “… (যার জন্য) বিশ্রাম ও খাদ্য, এবং এক উত্তম বাগান।”
(সূরা আল-ওয়াকিয়া 56:89)
এখানে “رَاحَة রাহাহ” শব্দগুচ্ছের ধারণা বিচার্য, যা মানসিক ও শারীরিক শান্তি নির্দেশ করে । - নাম হিসাবে ব্যবহার: ইসলামি নামকরণে সরাসরি এই ফরম নপড়লেও, ‘রাহা’ নামটি ঐতিহ্যগতভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে—কারণ এর অর্থ ও কুরআনিক সুরতের বিস্তৃত প্রভাব মানুষে মানুষে প্রশান্তি আনে ।
৩. অর্থ ও ব্যুৎপত্তিগত বৈচিত্র্য

৪. নামকরণের ইসলামী বিধি
- ইসলামি অনুমতি: ‘রাহা’ নাম ইসলামি দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য, কারণ এতে কোনো বিধিবিরোধী অর্থ নেই এবং এ নাম শান্তি–প্রশান্তি প্রকাশে উৎসাহিত করে ।
- শাড়ি পরামর্শ: নামকালে বাবা-মা চাইলে ‘রাহা’ নামের সাথে কোনো কোরআনিক বা ইসলামী চরিত্রের সমন্বয় (যেমন ‘রাহা–আল–হুদা’, ‘রাহা–আল–ইমান’) করেও ব্যবহার করেন।
উপসংহার
‘রাহা’ নামটি ইসলামিক ও আরবি সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিতে মানসিক শান্তি, স্বস্তি এবং স্থিতিশীলতার প্রতীক। এর কোরআনিক ব্যুৎপত্তি ও অর্থ শিশুকে জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে প্রশান্তি ও নিরাপত্তা বোধে উদ্বুদ্ধ করে।