“যার চরিত্র যেমন, তার জীবনসঙ্গী ও তেমনি হয়”—এই বক্তব্যের মধ্যে একটি সত্যতা রয়েছে, তবে এটি সম্পূর্ণভাবে নির্ভুল বলা যায় না। আমাদের জীবনসঙ্গী অনেক কারণে আমাদের চরিত্রের মতো হতে পারে, তবে একে পুরোপুরি নির্ধারণকারী হিসেবে দেখা ঠিক নয়।

কিছু কারণ যা এই বক্তব্যের পক্ষে থাকে:

  1. চরিত্র ও মানসিকতার মিল:
    • সাধারণত মিলগামী মানসিকতাঅবস্থানগত শখের মতো জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া যায়। দুইজনের যদি চরিত্রগত মানসিকতা, বিশ্বাস, মূল্যবোধ, এবং জীবনযাপন পদ্ধতি একসাথে মিলে যায়, তাহলে তাদের সম্পর্ক আরও স্থিতিশীল এবং সুখী হতে পারে।
    • উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি খুব ধার্মিক বা পরোপকারী হয়, তাকে একটি জীবনসঙ্গীও সাধারণত সেভাবেই খুঁজে পেতে পারে।
  2. পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা:
    • যদি একজনের চরিত্র ইতিবাচক এবং সদ্ব্যবহারিক হয়, তবে তারা সঠিকভাবে একে অপরকে শ্রদ্ধা এবং সমঝোতার মাধ্যমে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, যা জীবনে তাদের একে অপরকে ভালোভাবে জানাতে সাহায্য করে।

কিছু কারণ যা এই বক্তব্যের বিপক্ষে যেতে পারে:

  1. অন্য দৃষ্টিকোণ বা ব্যক্তিত্ব:
    • তবে, জীবনের কিছু ক্ষেত্রে মানুষ নিজের চরিত্রের বিপরীত জীবনসঙ্গী পছন্দ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি খুবই শান্ত বা ধীরগতি হয়, সে হয়তো উচ্ছৃঙ্খল ও উৎসাহী কোনো সঙ্গীকে পছন্দ করতে পারে, যাতে জীবনে কিছু ভিন্নতা আসে।
  2. অধিকার ও সম্পর্কের গঠন:
    • একজনের চরিত্র এবং জীবনসঙ্গী নির্বাচনের মধ্যে কখনও কখনও পারিবারিক প্রভাব, সামাজিক পরিস্থিতি, বা বিগত অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ফলে, চরিত্রের বিপরীত হলেও জীবনসঙ্গী নির্বাচিত হতে পারে।

উপসংহার:

এটি একেবারে বাস্তব হতে পারে, তবে এটি সাধারণ নীতি নয়। চরিত্রের মিল এবং সম্পর্কের গঠন অনেকটাই ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভরশীল। তবে, মিল থাকা জীবনে সম্পর্কের স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে।