মিলনে (শারীরিক সম্পর্কের সময়) মেয়েদের অনুভূতি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে, কারণ এটি শারীরিক, মানসিক এবং আবেগিক অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে সাধারণভাবে মেয়েরা মিলনের সময় নিম্নলিখিত অনুভূতিগুলো অনুভব করতে পারেন—

১. শারীরিক অনুভূতি:

আনন্দ ও উত্তেজনা – মিলনের সময় শরীরে হরমোন (Oxytocin, Dopamine, Endorphins) নির্গত হয়, যা আনন্দ ও সুখের অনুভূতি সৃষ্টি করে।
সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি – শরীরের বিভিন্ন অংশ বিশেষ করে যৌনাঙ্গ, বুক ও ত্বক বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে।
আরাম বা চাপমুক্তি – মিলন অনেকের জন্য মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং শারীরিকভাবে স্বস্তি দেয়।
প্রথমবার বা ভুল পদ্ধতিতে ব্যথা – যদি সঠিক প্রস্তুতি না থাকে বা প্রথমবার হয়, তাহলে কিছুটা ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

২. মানসিক অনুভূতি:

ভালোবাসার অনুভূতি – স্বামী বা সঙ্গীর প্রতি আরও আবেগী ও ভালোবাসাপূর্ণ অনুভূতি তৈরি হয়।
বিশ্বাস ও সান্নিধ্য – মিলনের মাধ্যমে একে অপরের প্রতি আত্মবিশ্বাস ও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে পারে।
অস্বস্তি বা লজ্জা (নতুনদের ক্ষেত্রে) – যদি পার্টনারের সঙ্গে কমফোর্ট লেভেল কম থাকে বা পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো না হয়, তাহলে কিছুটা অস্বস্তি বা লজ্জা লাগতে পারে।
পূর্তি বা অপূর্ণতা – মিলন যদি স্বামী-স্ত্রী দুজনের সম্মতিতে হয় এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুখ দেয়, তাহলে এটি সন্তুষ্টি আনতে পারে। তবে যদি কোনো কারণে অসুবিধা হয় (যেমন পার্টনার যথেষ্ট যত্নবান না হয় বা মেয়েটি প্রস্তুত না থাকে), তাহলে অপূর্তি ও হতাশা লাগতে পারে।

৩. আবেগিক অনুভূতি:

সন্তুষ্টি ও তৃপ্তি – যখন শারীরিক ও মানসিকভাবে মিলন সুখকর হয়, তখন এটি একজন নারীর জন্য শান্তি ও সুখ নিয়ে আসে।
সংযোগের গভীরতা – স্বামী বা সঙ্গীর প্রতি আরও সংযুক্তি ও আবেগ অনুভূত হয়।
নিরাপত্তার বোধ – যদি মিলন ভালোবাসা ও যত্নের সঙ্গে হয়, তাহলে নারীরা নিজেদের নিরাপদ ও মূল্যবান অনুভব করেন।
দুঃখ বা খারাপ লাগা (যদি সম্পর্ক ঠিক না থাকে) – যদি সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা, বোঝাপড়া বা সম্মতি না থাকে, তাহলে মিলনের পর একাকিত্ব, দুঃখ বা মানসিক কষ্ট লাগতে পারে।

শেষ কথা:

মিলনে মেয়েদের অনুভূতি শারীরিক, মানসিক ও আবেগিক দিক থেকে ভিন্ন হতে পারে। পার্টনারের সঙ্গে সৎ যোগাযোগ, বোঝাপড়া ও পরস্পরের প্রতি যত্নশীলতা থাকলে অভিজ্ঞতা অনেক বেশি ইতিবাচক হয়।