মসজিদ ও মাদ্রাসার জন্য টাকা তোলা বা চাঁদা সংগ্রহ করা শরিয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ, তবে কিছু শর্ত ও নিয়ম মেনে চলতে হবে।
✅ জায়েজ হওয়ার কারণ:
- সদকাহ ও ওয়াকফের বিধান:
ইসলামে মসজিদ-মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য দান করা উৎসাহিত করা হয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে:
“যারা আল্লাহর পথে নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ হলো একটি শস্যবীজের মতো, যা থেকে সাতটি শীষ গজায় এবং প্রতিটি শীষে একশত করে দানা থাকে।” (সুরা বাকারা: ২৬১) - রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও মসজিদের জন্য দান গ্রহণ করেছেন:
- নবীজি (সা.) মসজিদে নববী নির্মাণের সময় সাহাবাদের থেকে দান সংগ্রহ করেছিলেন।
- উসমান (রা.) রুমা কূপ কিনে জনসেবার জন্য দান করেছিলেন, যা এক প্রকার ওয়াকফ ছিল।
⚠️ শর্ত ও নিয়ম:
যদিও মসজিদ-মাদ্রাসার জন্য টাকা তোলা বৈধ, তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি:
- জোর-জবরদস্তি করা যাবে না – কেউ স্বেচ্ছায় দান করলে ভালো, তবে চাপে ফেলে বা বাধ্য করা অনুচিত।
- সঠিকভাবে খরচ করতে হবে – টাকা যথাযথভাবে মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন ও ধর্মীয় কাজে ব্যয় করতে হবে।
- স্বচ্ছতা থাকতে হবে – কোনো অনিয়ম বা আত্মসাৎ করা হারাম।
- বিতরণে ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখতে হবে – মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও মসজিদের খেদমতের জন্য টাকা ন্যায়সংগতভাবে ব্যবহৃত হতে হবে।
- নির্দিষ্ট স্থানে টাকা সংগ্রহের অনুমতি থাকতে হবে – রাষ্ট্র বা স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি থাকলে তা আরও ভালো হয়।
❌ যেসব পদ্ধতিতে টাকা তোলা অনুচিত:
- জোরপূর্বক টাকা আদায় করা।
- প্রতারণার মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করা।
- মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত তথ্য দিয়ে চাঁদা তোলা।
উপসংহার:
✔ সদকার উদ্দেশ্যে মসজিদ-মাদ্রাসার জন্য টাকা তোলা জায়েজ এবং ইসলাম এটাকে উৎসাহিত করেছে।
✔ তবে স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে পরিচালনা করা জরুরি।
✔ জোর-জবরদস্তি বা প্রতারণার আশ্রয় না নেওয়া উত্তম।
আপনার আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে জানাতে পারেন!