অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে জরায়ু বের হয়ে আসা (যাকে চিকিৎসার ভাষায় uterine prolapse বলা হয়) খুব কমই ঘটে, তবে এটি একেবারে অসম্ভব নয়। সাধারণত এই অবস্থা বেশি দেখা যায় সন্তান প্রসবের পর, কিন্তু অবিবাহিত ও কখনো সন্তান জন্ম না দেওয়া নারীদের মধ্যেও কিছু নির্দিষ্ট কারণে এটি হতে পারে।
সম্ভাব্য কারণগুলো:
- জন্মগত দুর্বলতা বা জেনেটিক সমস্যা: কারও জন্ম থেকেই পেলভিক ফ্লোরের পেশিগুলো দুর্বল হতে পারে, যা জরায়ুকে সঠিকভাবে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়।
- বারবার ভারী কিছু তোলা: ভারী ওজন উত্তোলন করলে পেটের চাপ বেড়ে যায়, যা জরায়ুর নিচে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
- দীর্ঘমেয়াদি কাশি বা কোষ্ঠকাঠিন্য: বারবার চাপ প্রয়োগ করলে পেলভিক মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
- হরমোনের সমস্যা: বিশেষ করে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি পেশিগুলো দুর্বল করতে পারে। যদিও এই সমস্যা সাধারণত মেনোপজ-পরবর্তী নারীদের মধ্যে বেশি হয়।
- ওজনজনিত চাপ: অতিরিক্ত স্থূলতা পেটের নিচে চাপ সৃষ্টি করে জরায়ু নিচে নামিয়ে আনতে পারে।
- অতিরিক্ত ব্যায়াম বা ভুল ভঙ্গিতে ব্যায়াম: ভুলভাবে বা মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম করলে পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
উপসর্গ:
- নিচের দিকে টান লাগার অনুভূতি
- যোনির মুখে কিছু বেরিয়ে আসার মতো অনুভব
- প্রস্রাব বা পায়খানা করতে সমস্যা
- কোমরে বা তলপেটে ভারী অনুভব
চিকিৎসা কী?
- হালকা পর্যায়ের ক্ষেত্রে: ব্যায়াম (যেমন কেগেল এক্সারসাইজ) দিয়ে উন্নতি সম্ভব
- মাঝারি বা গুরুতর ক্ষেত্রে: পেশারি (pessary) নামক একটি ডিভাইস ব্যবহার করা হয়
- চূড়ান্ত পর্যায়ে: অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে
আপনার বা পরিচিত কারো যদি এমন উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে আপনি চাইলে গোপনীয়ভাবে কীভাবে সমস্যাটা মোকাবিলা করতে হয়, সেই দিকেও গাইড করতে পারি।