বিবাহিত মহিলারা (বা পুরুষরাও) পরকীয়ায় জড়াতে পারেন নানা মানসিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত কারণে। কয়েকটি সাধারণ কারণ হলো—

১. মানসিক বা আবেগগত অপূর্ণতা

যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মানসিক সংযোগ দুর্বল হয় বা একে অপরকে যথেষ্ট সময় ও ভালোবাসা না দেন, তাহলে কেউ হয়তো সেই অভাব অন্য কারও মাধ্যমে পূরণ করতে চায়।

২. সম্পর্কে একঘেয়েমি বা উত্তেজনার অভাব

অনেক সময় দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনে একঘেয়েমি চলে আসে, ফলে নতুন সম্পর্কের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হতে পারে।

৩. অবহেলা বা অসম্মান বোধ করা

যদি একজন মহিলা তার স্বামীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত যত্ন, ভালোবাসা বা সম্মান না পান, তাহলে তিনি এমন কারও প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন, যিনি তাকে বেশি মূল্য দেন।

৪. প্রাক্তন প্রেমের টান বা অতীত সম্পর্কের রেশ

কিছু মানুষ অতীতের প্রেম বা বন্ধুত্ব ভুলতে পারেন না, ফলে পুরনো কারও সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ হতে পারে।

৫. বদলা নেওয়ার মানসিকতা

কখনো কখনো স্বামী প্রতারণা করলে বা অবহেলা করলে, স্ত্রীও ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য সম্পর্কে জড়াতে পারেন।

৬. আর্থিক বা সামাজিক চাহিদা

কিছু ক্ষেত্রে আর্থিক স্বচ্ছলতা বা সামাজিক প্রভাবের কারণে কেউ নতুন সম্পর্কে জড়াতে পারেন।

৭. উত্তেজনার খোঁজে বা ব্যক্তিত্বগত প্রবণতা

কিছু মানুষ স্বভাবগতভাবেই নতুন অভিজ্ঞতা খোঁজেন বা ঝুঁকি নিতে ভালোবাসেন, যা পরকীয়ার দিকে ধাবিত করতে পারে।

সমাধান কী?

পরকীয়া ঠেকাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খোলামেলা আলোচনা, পারস্পরিক বোঝাপড়া, ভালোবাসা ও সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কের সমস্যাগুলো শুরুতেই সমাধান করা গেলে এ ধরনের ঝুঁকি কমে যায়।

আপনার নির্দিষ্ট কোনো প্রসঙ্গ নিয়ে জানতে চাইলে বলতে পারেন।