পানিতে বিভিন্ন ধরনের জৈব পদার্থ থাকতে পারে, যা সাধারণত জীবন্ত এবং অজীবন্ত উৎস থেকে আসে। প্রধান জৈব পদার্থগুলো হলো:
১. প্রোটিন:
পানিতে প্রোটিন থাকলে তা সাধারণত জীবাণু, উদ্ভিদ বা প্রাণী অঙ্গ থেকে নির্গত হয়। মাছ, উদ্ভিদ, এবং অন্যান্য জীবিত প্রাণী পানিতে মল-মূত্র বা মৃতাংশের মাধ্যমে প্রোটিন সঞ্চালন করতে পারে।
২. কার্বোহাইড্রেট:
কিছু কার্বোহাইড্রেট যেমন শর্করা বা সেলুলোজ, পানিতে মিশে থাকে। উদ্ভিদ বা জলজ প্রাণীর কণিকা থেকে এসব উপাদান আসতে পারে।
৩. লিপিড (চর্বি):
লিপিড, বিশেষ করে ফ্যাট, জীবিত প্রাণীর সেল বা মল থেকে পানিতে এসে উপস্থিত হতে পারে। এটি পুকুর বা নদীর পানি দূষিত করতে পারে।
৪. এমিনো অ্যাসিড:
এমিনো অ্যাসিড পানিতে জীবাণু বা উদ্ভিদের ডিগ্রেডেশন (অণুচক্র) মাধ্যমে থাকতে পারে। তারা জীবিত সেলের প্রোটিনের গঠনগত উপাদান।
৫. ভিটামিন:
ভিটামিন কিছু কিছু প্রাণী বা উদ্ভিদের মাধ্যমেও পানিতে মিশে আসতে পারে, যা জলজ পরিবেশে জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৬. নিউক্লিক অ্যাসিড:
ডিএনএ ও আরএনএ—এগুলি জীবাণু বা মৃত সেল থেকে পানিতে প্রবাহিত হতে পারে।
৭. অরগ্যানিক অ্যাসিড:
কিছু অর্গানিক অ্যাসিড যেমন ফ্যাটি অ্যাসিড বা হিউমিক অ্যাসিড পানিতে মিশে থাকতে পারে, যা জলজ জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
৮. এনজাইম:
এনজাইম পানিতে জীবিত বা মৃত সেলের ডিগ্রেডেশন বা রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপস্থিত হতে পারে।
এইসব জৈব পদার্থ পানিতে খনিজ পদার্থ এবং জীবাণুর সাথে মিলে পানির গুণগত মান ও জীববৈচিত্র্যকে প্রভাবিত করতে পারে।