বাংলাদেশে পশু নিষ্ঠুরতা বা পশুদের প্রতি অমানবিক আচরণ প্রতিরোধের জন্য কিছু আইন ও বিধি-নিষেধ রয়েছে। পশুদের প্রতি নির্যাতন এবং অমানবিক আচরণ আইনি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং এর জন্য শাস্তির বিধানও রয়েছে। বাংলাদেশের পশু নিষ্ঠুরতা সম্পর্কিত আইনগুলি প্রধানত নিম্নলিখিত:
১. দ্য অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার অর্ডিন্যান্স, ১৯৬২
এই আইনটি পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ এবং তাদের কল্যাণের জন্য প্রণীত। এটি বাংলাদেশের প্রধান পশু কল্যাণ আইন এবং এতে পশুদের প্রতি অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধান:
পশুদের অযথা মারধর বা অত্যাচার নিষিদ্ধ।
পশুদের খাবার এবং পানির অধিকার রয়েছে, যা নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রদান করতে হবে।
কোনো পশুকে অত্যধিক পরিশ্রমে ব্যবহার করা নিষেধ।
পশুদের উপর অযথা পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা নির্যাতন করা নিষিদ্ধ।
২. দ্য পেনাল কোড, ১৮৬০ (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশের পেনাল কোড এর ধারায়ও কিছু অংশ রয়েছে যা পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা এবং অমানবিক আচরণের জন্য শাস্তির বিধান করে। যেমন:
ধারা ৪৪০: পশুর উপর অবৈধ অত্যাচার বা নিষ্ঠুরতা করার জন্য শাস্তি।
ধারা ৪৪২: পশুদের সঠিকভাবে খাওয়ানো, চিকিৎসা এবং তাদের প্রতি অমানবিক আচরণ প্রতিরোধের জন্য শাস্তি দেওয়া হতে পারে।
৩. প্রাইভেট এনিমেল রাইটস অ্যাক্ট (অপ্রচলিত)
বাংলাদেশে কিছু প্রাইভেট এনিমেল রাইটস অ্যাক্ট এবং স্থানীয় সংস্থা দ্বারা পশুদের প্রতি দয়া, মানবিক আচরণ, এবং তাদের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
৪. জাতীয় পরিবেশ অধিদপ্তর
পরিবেশ অধিদপ্তরও পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধে কিছু কাজ করে থাকে। বিশেষত বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও তাদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
পশু নিষ্ঠুরতা রোধের জন্য শাস্তি:
পশু নিষ্ঠুরতা আইন অনুযায়ী, যদি কেউ পশুদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করে বা তাদের আঘাত করে, তবে তাকে জেল, জ monetary জরিমানা, বা উভয় শাস্তি হতে পারে। শাস্তি অপরাধের ধরণ এবং এর গুরুতরতার ওপর নির্ভর করে।
উপসংহার
বাংলাদেশে পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধে বিভিন্ন আইন ও বিধি রয়েছে যা পশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং এর বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করে। সমাজে পশুদের প্রতি মানবিক আচরণের প্রচার ও পশু কল্যাণ আইনগুলো বাস্তবায়ন করা জরুরি।