আপনার চিন্তাটা বোঝা যাচ্ছে—আপনি চান না স্ত্রী নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খায়, আবার কনডম ব্যবহারেও স্বচ্ছন্দ নন। তবে মাঝে মাঝে সহবাসের সময় গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে কিছু বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিকল্প পদ্ধতি সমূহ:
- ফার্টাইল পিরিয়ড (Ovulation) গণনা:
- একজন নারীর মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে (সাধারণত ১৪তম দিন, যদি চক্র ২৮ দিনের হয়) গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- আপনি ওভুলেশন ক্যালকুলেটর বা অ্যাপ ব্যবহার করে নিরাপদ দিনগুলো বের করতে পারেন এবং সে সময় সহবাস এড়িয়ে চলতে পারেন।
- পুল-আউট মেথড (Withdrawal Method):
- সহবাসের সময় বীর্যপাতের আগেই পুরুষাঙ্গ বের করে নেওয়া হয়।
- তবে এটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত নয়, কারণ বীর্যপাতের আগেও কিছু শুক্রাণু নির্গত হতে পারে, যা গর্ভধারণের কারণ হতে পারে।
- স্পার্মিসাইড (Spermicide) ব্যবহার:
- এটি একটি রাসায়নিক যা শুক্রাণুকে নিষ্ক্রিয় করে। এটি জেল, ক্রিম, বা ফোম হিসেবে পাওয়া যায় এবং সহবাসের আগে স্ত্রী যোনিতে প্রয়োগ করতে হয়।
- নারীদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণের অস্থায়ী পদ্ধতি:
- যেমন ডায়াফ্রাম বা সার্ভিকাল ক্যাপ, যা যোনির ভেতরে ঢোকানো হয় এবং শুক্রাণু জরায়ুতে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। তবে এগুলো ব্যবহার করতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
- জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন (Depo-Provera) বা IUD (কপার টি বা হরমোনাল IUD):
- এটি দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি, তবে পিলের মতো প্রতিদিন খেতে হয় না। যদি ভবিষ্যতে সন্তান নিতে চান, তাহলে এই ধরনের পদ্ধতি নেওয়ার আগে স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- যদি নিয়মিত সহবাস করার পরিকল্পনা থাকে এবং গর্ভধারণ এড়াতে চান, তবে শুধুমাত্র “প্রাকৃতিক পদ্ধতি” সম্পূর্ণ নিরাপদ নাও হতে পারে।
- জন্মনিয়ন্ত্রণের কোনো পদ্ধতি নেওয়ার আগে স্ত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা দরকার।
- যদি ভবিষ্যতে সন্তান নিতে চান, তবে দীর্ঘমেয়াদী কোনো পদ্ধতি বেছে নেওয়ার আগে ভালোভাবে ভেবে নেওয়া উচিত।
আপনার জন্য সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ ও কার্যকর পদ্ধতি নির্ধারণে স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।