إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ تَنْهَىٰ عَنِ ٱلْفَحْشَآءِ وَٱلْمُنكَرِ ۗ
“নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।”
(সূরা আনকাবূত, আয়াত ৪৫)


তাহলে প্রশ্ন হলো:

“নামাজ যদি পাপকাজ থেকে বিরত রাখে, তাহলে অনেক নামাজি মানুষ কেন পাপ করে?”

এর উত্তর কয়েকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়:


১. নামাজ কেবল “পড়লে” নয়, “ঠিকভাবে পড়লে” পাপ থেকে বিরত রাখে

  • অনেক মানুষ কেবল দায়িত্ব পালন করার জন্য বা অভ্যাসে নামাজ পড়ে, কিন্তু মনোযোগ (খুশু-খুজু), অন্তরের অনুভব বা আল্লাহভীতি নিয়ে পড়ে না।
  • ঠিকভাবে, হৃদয় দিয়ে, বুঝে নামাজ পড়লে তা মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে এবং পাপ থেকে দূরে রাখে।

কোরআনে বলা হয়েছে:
“ধ্বংস তাদের জন্য যারা নামাজে গাফেল” (সূরা মাউন, আয়াত ৪)


২. নামাজ “প্রতিরোধক” – তবে সেটা ধাপে ধাপে কাজ করে

  • ঠিক যেমন কোনো ওষুধে ধীরে ধীরে রোগ ভালো হয়, তেমনি নামাজও মানুষের ভেতরের খারাপ স্বভাব ধীরে ধীরে পরিশুদ্ধ করে।
  • কেউ হয়তো নামাজ পড়লেও এখনো পুরোপুরি বদলায়নি, কিন্তু সে পরিবর্তনের পথে আছে।

৩. নামাজ একজনকে গুনাহ থেকে ফিরিয়ে আনার দরজা খোলা রাখে

  • অনেকে পাপ করে ঠিকই, কিন্তু নামাজ তার মধ্যে একদিন তাওবার আগ্রহ তৈরি করতে পারে।
  • আল্লাহ বারবার মানুষকে সুযোগ দেন সংশোধনের জন্য।

৪. নামাজ ও পাপের দ্বন্দ্ব সবসময় চলে

  • মানুষ দুর্বল, শয়তান সবসময় ধোঁকা দেয়। তাই নামাজ পড়েও কেউ পাপ করে ফেলতে পারে। কিন্তু নামাজ না থাকলে সে আরও গভীরভাবে ডুবে যেত।

সংক্ষেপে:

নামাজ এমন একটি শক্তি যা ধীরে ধীরে আত্মাকে গঠন করে, মনের ভেতর আল্লাহর ভয় তৈরি করে। কিন্তু ফল পাওয়ার জন্য যেমন ঠিকভাবে ও নিয়মিত নামাজ পড়া লাগে, তেমনি মনেও একাগ্রতা ও আন্তরিকতা দরকার। কেউ যদি নামাজকে শুধুই শরীরের একটা কাজ মনে করে, তাহলে সেটা যথাযথ ফল দেবে না।