তাহাজ্জুদ নামাজ নফল ইবাদত, তবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রিয় সুন্নত। এটি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিয়মিত অভ্যাস ছিল এবং তিনি উম্মতকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার প্রতি উৎসাহিত করেছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব:
- কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
“আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়ুন, এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত ইবাদত (নফল)। আশা করা যায়, আপনার রব আপনাকে প্রশংসিত অবস্থানে পৌঁছে দেবেন।” (সুরা আল-ইসরা: ৭৯) - হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন:
“তোমরা রাতের নামাজ আদায় করো, কারণ তা তোমাদের পূর্ববর্তী নেককার লোকদের অভ্যাস ছিল, এটা আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম, পাপ মোচনকারী এবং গুনাহ থেকে বিরত রাখে।” (তিরমিজি: ৩৫৪৯)
তাহাজ্জুদ নামাজের বিধান:
✔️ এটি সুন্নাতে মুআক্কাদা নয়, তাই বাধ্যতামূলক নয়।
✔️ তবে এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ নফল নামাজ, যা নিয়মিত আদায় করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।
✔️ এটি রাতে, ঘুম থেকে উঠে পড়তে হয় (ইশার পর ঘুমিয়ে কিছুক্ষণ পরে উঠলে তাহাজ্জুদ হয়)।
✔️ কমপক্ষে ২ রাকাত এবং সর্বোচ্চ ৮, ১০, বা ১২ রাকাত পড়া যায়।
সংক্ষেপে:
তাহাজ্জুদ নামাজ নফল, তবে এটি পড়া সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম উত্তম মাধ্যম।