তারাতারি বীর্যপাত (Premature Ejaculation – PE) বিভিন্ন কারণে হতে পারে, এবং এটি অনেক পুরুষের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা। এই পরিস্থিতি তখন ঘটে যখন যৌন সম্পর্কের শুরু থেকেই বীর্যপাত অত্যন্ত দ্রুত ঘটে, যা সঙ্গী বা নিজে সন্তুষ্ট হতে বাধা দেয়।

তারাতারি বীর্যপাতের কিছু সাধারণ কারণ:

  1. মানসিক চাপ বা উদ্বেগ:
    • মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা অনেক সময় যৌন অঙ্গের স্নায়ুকে অস্থির করতে পারে, যা দ্রুত বীর্যপাতের কারণ হতে পারে।
    • প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা বা পারফরমেন্সের বিষয়ে অযথা চিন্তা করা।
  2. যৌন উত্তেজনার অতিরিক্ত বৃদ্ধি:
    • অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা, বিশেষ করে যদি অনেক দিন পর সহবাস করা হয়, তখন বীর্যপাত দ্রুত হয়ে যেতে পারে।
  3. অভ্যাসের অভাব:
    • নিয়মিত যৌন অভ্যাসের অভাব হলে শরীর বা মন যৌন সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত না থাকতে পারে, যা দ্রুত বীর্যপাত ঘটায়।
  4. শারীরিক বা হরমোনাল সমস্যা:
    • হরমোনের পরিবর্তন, যেমন টেস্টোস্টেরনের কমতি বা অতিরিক্ত, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা, বা শারীরিক অসুস্থতা (যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ) এসবও দ্রুত বীর্যপাতের কারণ হতে পারে।
  5. অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যাস:
    • পর্নোগ্রাফি দেখার কারণে বাস্তব যৌন সম্পর্কের জন্য শরীর ও মন প্রস্তুত হতে পারে না, এবং দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে।
  6. জেনেটিক বা বংশগত কারণ:
    • কিছু পুরুষের মধ্যে এটি বংশগত হতে পারে, যেখানে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও একই সমস্যা থাকতে পারে।

তারাতারি বীর্যপাত প্রতিরোধের জন্য কিছু টিপস:

  1. স্টপ-স্টার্ট পদ্ধতি:
    • বীর্যপাতের আগে থেমে গিয়ে আবার শুরু করার চেষ্টা করুন, যাতে শরীর অভ্যস্ত হয়ে যায়।
  2. কেগেল ব্যায়াম:
    • পেলভিক ফ্লোর মাসল শক্তিশালী করার জন্য কেগেল ব্যায়াম করুন, যা বীর্যপাতের নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
  3. মানসিক চাপ কমানো:
    • যৌন সম্পর্কে আনন্দ নিন, চাপ কমানোর জন্য মাইন্ডফুলনেস বা ধ্যান করতে পারেন।
  4. সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা:
    • সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন, যাতে মানসিক চাপ কমে এবং একে অপরকে ভালোভাবে বোঝা যায়।
  5. চিকিৎসকের পরামর্শ:
    • যদি এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থাকে বা গুরুতর মনে হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি হতে পারে।

সংক্ষেপে: তারাতারি বীর্যপাত বেশিরভাগ সময় মানসিক বা শারীরিক কারণে হয়, তবে এটি সাধারণত চিকিৎসা বা নিয়মিত অভ্যাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণযোগ্য।