টাইম ট্রাভেল (Time Travel) ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সরাসরি আলোচনা করা হয়নি, তবে কিছু ঘটনা এবং ধারণা এ বিষয়ে পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত দিতে পারে।

কুরআন ও হাদিস থেকে সম্পর্কিত উদাহরণ:

  1. আশহাবে কাহাফের ঘটনা:
    কুরআনে বলা হয়েছে, গুহাবাসী যুবকেরা (আশহাবে কাহাফ) ৩০৯ বছর ধরে ঘুমিয়ে ছিলেন এবং তাদের শরীরের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
    সূরা কাহাফ (১৮:২৫): “তারা তাদের গুহায় তিনশত বছর অবস্থান করেছিল এবং আরও নয় বছর যোগ হয়েছে।”
    এটি একটি ধরণের “সময় স্থগিত” বা ভিন্ন বাস্তবতার ধারণা দেয়।
  2. ইসরাইল ও মিরাজের ঘটনা:
    নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক রাতে মিরাজে গমন করেছিলেন, যেখানে তিনি স্বল্প সময়ে বহু ঘটনা দেখেন এবং আল্লাহর সাথে কথা বলেন। এ ঘটনাটি সময়ের গতিশীলতা বা ভিন্ন মাত্রায় ভ্রমণের ইঙ্গিত দিতে পারে।
  3. আজরাইল (আ.):
    ফেরেশতারা সময় ও স্থানের সীমাবদ্ধতার বাইরে কাজ করতে পারেন। মৃত্যুর ফেরেশতা আজরাইল (আ.) একই সময়ে বহু স্থানে মৃত্যুর কার্য সম্পাদন করেন। এটি সময় ও স্থানের ভিন্নতা বোঝাতে পারে।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ইসলামের অবস্থান:

টাইম ট্রাভেল আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী আপেক্ষিক তত্ত্ব (Theory of Relativity) এর মাধ্যমে তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব, তবে এটি মানুষের জন্য এখনও কল্পনাতীত। ইসলামে বিজ্ঞান ও প্রকৃতির রহস্য আল্লাহর ইচ্ছার অন্তর্ভুক্ত। কুরআনে বলা হয়েছে:
সূরা বাকারা (২:২৮৫):

“আল্লাহ সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।”

ইসলামের দৃষ্টিতে সিদ্ধান্ত:

  • টাইম ট্রাভেল সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না, তবে আল্লাহর ইচ্ছায় সবকিছু সম্ভব।
  • যদি টাইম ট্রাভেল কোনো দিন সম্ভব হয়, তবে তা অবশ্যই আল্লাহর দেওয়া জ্ঞানের মাধ্যমে হবে এবং তা তাঁর কুদরতের অন্তর্গত।

সংক্ষেপে: টাইম ট্রাভেল ইসলামে সরাসরি উল্লেখ নেই, তবে কুরআনের বিভিন্ন ঘটনা ও আল্লাহর শক্তির মাধ্যমে এটি সম্ভব হতে পারে বলে ধারণা করা যায়।