গ্রিন হাউজ প্রভাব হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কিছু গ্যাসের উপস্থিতি, যেমন কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂), মিথেন (CH₄), জলীয় বাষ্প (H₂O) এবং নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O), যেগুলি সূর্যের তাপ শোষণ করে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এই গ্যাসগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, যা জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।
গ্রিন হাউজ প্রভাবের কারণ:
- কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂): মানুষের কার্যকলাপ, যেমন গাছপালা কাটানো, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো (তেল, গ্যাস, কয়লা) এই গ্যাসের পরিমাণ বাড়ায়।
- মিথেন (CH₄): কৃষি কার্যক্রম, বিশেষ করে গবাদি পশুর জন্য পুষ্টি প্রক্রিয়া এবং খনিজ পদার্থের অবনমন এ গ্যাসের উৎপত্তি ঘটায়।
- নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O): কৃষিকাজে ব্যবহার করা সার এবং জ্বালানি পোড়ানোর মাধ্যমে এই গ্যাস তৈরি হয়।
- জলীয় বাষ্প: জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি সাধারণত বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রার সাথে সম্পর্কিত, এবং এটি গ্রিন হাউজ প্রভাবকে আরও তীব্র করে।
গ্রিন হাউজ প্রভাবের অপকারিতা:
- গ্লোবাল ওয়ার্মিং: পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে, যার ফলে তুষারপাত, হিমবাহ গলা, সাগরের স্তর বৃদ্ধি, এবং তাপদাহের মতো সমস্যাগুলি দেখা দেয়।
- বন্যা ও খরা: তাপমাত্রার বৃদ্ধি বিশেষ অঞ্চলে খরা এবং অন্য অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত বা বন্যার সৃষ্টি করতে পারে।
- বৈচিত্র্যের ক্ষতি: উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাসস্থান পরিবর্তিত হতে পারে এবং অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির পথে চলে যেতে পারে।
- স্বাস্থ্য সমস্যা: তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে শ্বাসকষ্ট, রোগের বিস্তার, এবং খাদ্য নিরাপত্তা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
গ্রিন হাউজ প্রভাব মানব সমাজের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং এর প্রভাব মোকাবেলার জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন।