গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয় যদি এটি মায়ের বা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়। ইসলামে গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে:
১. কোরআন:
- সূরা আল-বাকারা (২:১৮৫)— “যে ব্যক্তি অসুস্থ বা সফরে থাকবে, সে পরবর্তীতে অন্য দিনে রোজা পূরণ করবে।”
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মা যদি মনে করে যে রোজা তাদের বা শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তবে তারা পরবর্তীতে রোজা কাজা করতে পারেন।
২. হাদিস:
- নবী (সাঃ) বলেছেন: “আল্লাহ ভ্রমণকারী, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়ের জন্য রোজার বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছেন।” (আবু দাউদ, তিরমিজি)
রোজা রাখা উচিত কি না?
✅ যদি শরীর সুস্থ থাকে এবং ডাক্তার অনুমতি দেয়, তবে রোজা রাখা যেতে পারে।
❌ যদি রোজা রাখা মা বা শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে, তবে রোজা না রাখাই উত্তম। পরে কাজা করে নেওয়া যাবে।
কাজা নাকি ফিদিয়া দিতে হবে?
- যদি মা মনে করেন, পরে রোজা রাখতে পারবেন, তবে কাজা করাই উত্তম।
- যদি পরে কাজা রাখার সামর্থ্য না থাকে (যেমন দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা), তাহলে ফিদিয়া দিতে হবে (প্রতিটি রোজার জন্য একজন গরিবকে খাবার খাওয়ানো)।
উপসংহার:
গর্ভবতী মা যদি সুস্থ বোধ করেন এবং ডাক্তার অনুমতি দেন, তবে রোজা রাখতে পারেন। তবে যদি রোজা মা বা শিশুর জন্য ক্ষতিকর হয়, তাহলে ইসলামে ছাড় দেওয়া হয়েছে এবং পরে কাজা করার সুযোগ আছে।