গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ফল। কিছু ফল গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
গর্ভাবস্থায় উপকারী ফলসমূহ:
- কমলা, মাল্টা, লেবু – ভিটামিন C এবং ফোলেট সরবরাহ করে, যা শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সাহায্য করে।
- আপেল – ফাইবার, ভিটামিন A ও C থাকে, যা হজমে সহায়তা করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- কলা – পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা পেশী সংকোচন, ক্লান্তি ও পা ফুলে যাওয়া কমায়।
- আঙুর – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও হাইড্রেশন বজায় রাখতে সহায়ক, তবে বেশি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- আম – ভিটামিন A ও C সমৃদ্ধ, যা শিশুর দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করে এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
- অ্যাভোকাডো – ফোলেট ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ভালো উৎস, যা শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে।
- পেয়ারা – ফাইবার, ভিটামিন C, A ও আয়রন সরবরাহ করে, যা গর্ভকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
- ডালিম (আনার) – আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
- তরমুজ – পানির পরিমাণ বেশি থাকায় শরীর হাইড্রেট রাখে ও বমিভাব কমায়।
- খেজুর – প্রাকৃতিক চিনি ও ফাইবারের ভালো উৎস, যা এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।
যে ফল কম খাওয়া উচিত বা এড়িয়ে চলা ভালো:
- আনারস – অতিরিক্ত খেলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- কাঁচা পেঁপে – এতে থাকা এনজাইম সংকোচন বাড়িয়ে গর্ভপাতের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
- লিচু – বেশি খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পর্যাপ্ত পুষ্টির জন্য দৈনিক বিভিন্ন ফল খাওয়া ভালো, তবে পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে। আপনার যদি ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।