গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণগুলো একজন নারীর শরীরের হরমোন পরিবর্তনের কারণে দেখা দেয়। তবে লক্ষণগুলো সবার ক্ষেত্রে একরকম নাও হতে পারে। নিচে সাধারণত দেখা যায় এমন কিছু প্রাথমিক গর্ভধারণের লক্ষণ উল্লেখ করা হলো—

১. মাসিক বন্ধ হওয়া

  • এটি গর্ভধারণের সবচেয়ে সাধারণ ও প্রথম লক্ষণ।
  • তবে স্ট্রেস, ওজন পরিবর্তন বা হরমোনজনিত সমস্যার কারণেও মাসিক দেরিতে হতে পারে।

২. বমি বমি ভাব ও বমি (মর্নিং সিকনেস)

  • সাধারণত গর্ভধারণের ২-৮ সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয়।
  • দিনের যেকোনো সময় এটি হতে পারে, তবে সকালে বেশি হয়।

৩. অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা

  • শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোন বেড়ে যাওয়ার ফলে এই ক্লান্তি দেখা দেয়।

৪. স্তনে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া

  • স্তন নরম ও সংবেদনশীল হয়ে যেতে পারে।
  • নিপলের রঙ গাঢ় হয়ে যেতে পারে।

৫. প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া

  • গর্ভধারণের কারণে শরীরে বেশি রক্ত প্রবাহিত হয়, যার ফলে কিডনির কার্যক্রম বেড়ে যায়।

৬. খাবারের প্রতি আকর্ষণ বা অরুচি

  • কিছু নির্দিষ্ট খাবারের গন্ধ সহ্য করতে না পারা বা হঠাৎ কোনো খাবার খুব খেতে ইচ্ছে করা।

৭. মুড পরিবর্তন

  • হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মানসিক অবস্থা অস্থির হতে পারে।

৮. সামান্য রক্তক্ষরণ বা ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং

  • গর্ভধারণের ৬-১২ দিনের মধ্যে খুব সামান্য রক্তক্ষরণ হতে পারে, যা সাধারণ মাসিকের চেয়ে অনেক কম হয়।

৯. পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য

  • প্রোজেস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধি অন্ত্রের গতিশীলতা কমিয়ে দিতে পারে, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

১০. শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি

  • গর্ভধারণের পর শরীরের বেসাল টেম্পারেচার (BBT) স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকে।

প্রথমে কী করা উচিত?

  • উপরের লক্ষণগুলোর মধ্যে কয়েকটি দেখা দিলে প্রেগনেন্সি টেস্ট (HCG টেস্ট) করা উচিত।
  • নিশ্চিত হতে রক্তের Beta HCG টেস্ট বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।