কিডনির কার্যকারিতা যাচাই করতে সাধারণত রক্তে সিরাম ক্রিয়েটিনিন (Serum Creatinine) পরীক্ষা করা হয়। ক্রিয়েটিনিন হলো শরীরের পেশি থেকে উৎপন্ন একটি বর্জ্য পদার্থ, যা কিডনি থেকে ফিল্টার হয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়।

কিডনির স্বাভাবিক পয়েন্ট (সিরাম ক্রিয়েটিনিন)

নারী: 0.7 – 1.0 mg/dL

পুরুষ: 0.8 – 1.2 mg/dL

শিশু: 0.2 – 0.7 mg/dL

কিডনির কার্যকারিতা যাচাই করার উপায়

১. রক্ত পরীক্ষা (Serum Creatinine Test)

রক্তের একটি নমুনা ল্যাবরেটরিতে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ নির্ধারণের মাধ্যমে কিডনির কার্যক্ষমতা জানা যায়।

২. GFR (Glomerular Filtration Rate) নির্ণয়

ক্রিয়েটিনিনের মানের পাশাপাশি GFR পরীক্ষা করে কিডনির সঠিক কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়।

স্বাভাবিক GFR: 90-120 mL/min/1.73m²।

৩. ইউরিয়া ও ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা

কিডনি ফাংশনের অন্য উপাদান যাচাই করতে রক্তে ইউরিয়া, পটাসিয়াম, ও সোডিয়ামের মাত্রাও দেখা হয়।


কিডনির কার্যক্ষমতার সমস্যার লক্ষণ

  1. বারবার প্রস্রাবের চাপ।
  2. পা ও মুখে ফোলা।
  3. ক্লান্তি ও দুর্বলতা।
  4. ক্ষুধামন্দা বা বমি বমি ভাব।
  5. প্রস্রাবে রক্ত বা ফেনা।

আপনার কিডনি ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে করণীয়

  1. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন:
    বছরে অন্তত একবার সিরাম ক্রিয়েটিনিন এবং GFR পরীক্ষা করুন।
  2. পানি পান করুন:
    প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে কিডনি সুস্থ থাকে।
  3. লবণ ও প্রোটিনের নিয়ন্ত্রণ:
    অতিরিক্ত লবণ ও প্রোটিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
  4. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন:
    এগুলো কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  5. ডাক্তারের পরামর্শ নিন:
    ক্রিয়েটিনিনের মান বেশি বা কম হলে দ্রুত নেফ্রোলজিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন।

আপনার কিডনি পরীক্ষা সংক্রান্ত আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে জানাতে পারেন!