কারক: যে শব্দ বা পদ বাক্যে ক্রিয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন অবস্থানে থাকে এবং ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক প্রকাশ করে, তাকে কারক বলে।

কারকের প্রকারভেদ:

বাংলা ভাষায় ছয় ধরনের কারক রয়েছে—

  1. कर्तृ কারক: যে কারক দিয়ে কাজ করার ব্যক্তি বা বস্তু বোঝানো হয়।
    উদাহরণ: বাবা বই পড়েন। (এখানে ‘বাবা’ কর্তৃ কারক)
  2. কর্ম কারক: যে কারক কাজের ফলস্বরূপ ঘটে বা ক্রিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়।
    উদাহরণ: রাজিব গল্প লিখছে। (এখানে ‘গল্প’ কর্ম কারক)
  3. करण কারক: যে কারক দিয়ে কাজ সম্পন্ন হওয়ার উপায় বা যন্ত্র বোঝানো হয়।
    উদাহরণ: সে কলম দিয়ে লিখছে। (এখানে ‘কলম’ करण কারক)
  4. সম্প্রদান কারক: যে কারক কাউকে কিছু দেওয়া বা কোনো উদ্দেশ্য বোঝায়।
    উদাহরণ: আমি বাবাকে চিঠি দিলাম। (এখানে ‘বাবাকে’ সম্প্রদান কারক)
  5. অধিকরণ কারক: যে কারক সময়, স্থান বা অবস্থান বোঝায়।
    উদাহরণ: আমরা মাঠে খেলছি। (এখানে ‘মাঠে’ অধিকরণ কারক)
  6. সম্বন্ধ কারক: যে কারক দ্বারা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা বস্তুর মধ্যে সম্পর্ক বোঝানো হয়।
    উদাহরণ: রাহাতের বই হারিয়ে গেছে। (এখানে ‘রাহাতের’ সম্বন্ধ কারক)

প্রত্যেক কারকের সঙ্গে নির্দিষ্ট বিভক্তি যুক্ত থাকে, যা বাক্যের গঠনে ভূমিকা রাখে।