ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করা বেআইনি ও অনৈতিক। এটি সাইবার অপরাধের মধ্যে পড়ে এবং অধিকাংশ দেশে এর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।
তবে, ওয়াইফাই নিরাপত্তা দুর্বল হলে তা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
✅ যেসব কারণে ওয়াইফাই সহজে হ্যাক হতে পারে:
- দুর্বল বা সহজ অনুমানযোগ্য পাসওয়ার্ড (যেমন: “12345678” বা “password”)।
- পুরনো নিরাপত্তা প্রোটোকল (যেমন: WEP, যা সহজেই ভেঙে ফেলা যায়)।
- রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট না থাকলে নিরাপত্তা দুর্বল হতে পারে।
- WPS (Wi-Fi Protected Setup) চালু থাকলে এটি brute-force আক্রমণের শিকার হতে পারে।
নিজের ওয়াইফাই সুরক্ষিত রাখার উপায়:
✅ শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন (কমপক্ষে ১২-১৬ অক্ষরের, সংখ্যা, বড়-ছোট হাতের অক্ষর ও বিশেষ চিহ্ন মিশিয়ে)।
✅ WPA3 বা WPA2-PSK (AES) এনক্রিপশন ব্যবহার করুন (পুরনো WEP বা WPA ব্যবহার করবেন না)।
✅ রাউটারের ডিফল্ট ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন (যাতে কেউ সহজে লগইন করতে না পারে)।
✅ WPS বন্ধ করে দিন (এটি brute-force আক্রমণের মাধ্যমে সহজেই হ্যাক করা যায়)।
✅ MAC ফিল্টারিং চালু করুন (শুধু নির্দিষ্ট ডিভাইস কানেক্ট করতে পারবে)।
✅ ফার্মওয়্যার আপডেট করুন (রাউটারের নিরাপত্তা দুর্বলতা দূর করতে)।
সংক্ষেপে:
ওয়াইফাই হ্যাক করা সম্ভব, তবে এটি বেআইনি এবং আপনার নিজস্ব নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত রাখলে হ্যাকিং প্রতিরোধ করা সম্ভব। যদি আপনার ওয়াইফাই কেউ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করছে বলে সন্দেহ হয়, তাহলে রাউটারের লগ চেক করুন, পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্ত করুন।