ইসলামে স্বামী যদি ভুলবশত বা স্বেচ্ছায় স্ত্রীর বুকের দুধ পান করে, তাহলে এর কারণে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না। অর্থাৎ, এটি হারাম নয়, কিন্তু নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিশ্লেষণ
- স্ত্রীর দুধ মূলত সন্তানের জন্য:
- ইসলামে মায়ের বুকের দুধ মূলত শিশুর জন্য নির্ধারিত, এবং এটি শিশুর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য।
- সন্তান যদি কোনো মহিলার দুধ পান করে, তাহলে সে ওই মহিলার দুধের সন্তান হয়ে যায়, এবং তাদের মধ্যে রক্ত সম্পর্কের মতো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
- প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দুধ পান করলে সম্পর্ক পরিবর্তন হয় না:
- হাদিস অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক কেউ যদি স্ত্রীর দুধ পান করে, তাহলে তারা দুধের মাধ্যমে মাহরাম হয় না (অর্থাৎ তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক অটুট থাকে)।
- নবী (সা.) বলেছেন:
“রদাআত (দুধ পান করা) তখনই মাহরাম সম্পর্ক সৃষ্টি করে, যখন তা দুগ্ধপানকারী শিশু অবস্থায় হয়।” (সুনান আত-তিরমিজি, ১১৫২)
- বিবাহিত জীবনে এটি কামনাজনিত কাজ হিসেবে করা উচিত নয়:
- ইসলামে স্ত্রীর বুকের দুধকে কামনার বস্তু বানানো উচিৎ নয়।
- যদিও কোনো ব্যক্তি যদি ভুল করে স্ত্রীর দুধ পান করে, তবে এতে কোনো শাস্তি বা নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে এটি পরিহার করাই উত্তম।
ফাতওয়া ও ইসলামিক ব্যাখ্যা:
✅ ইসলামিক স্কলারদের মতে:
- স্ত্রীর বুকের দুধ স্বামীর জন্য হারাম নয়, তবে এটি স্বাভাবিক কাজ নয়।
- ইবনে কুদামা (রহ.) বলেছেন:
“একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি স্ত্রীর দুধ পান করলে, তা বৈবাহিক সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। কারণ দুধ সম্পর্ক গঠন করে শুধুমাত্র শিশু বয়সে (যখন সে দুই বছরের কম হয়)।” (আল-মুগনি, ১১/৩৩০)
✅ উত্তর:
- স্বামী যদি স্ত্রীর বুকের দুধ পান করে, তাহলে এতে বিবাহ বা মাহরাম সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হয় না।
- কিন্তু এটি কোনো স্বাভাবিক বা কামনামূলক কাজ হওয়া উচিৎ নয়।
- ইসলামের দৃষ্টিতে এটি নিষিদ্ধ (হারাম) নয়, তবে অপ্রত্যাশিত ও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।