সহবাসের পর সামান্য রক্তপাত দেখা দিলে তা ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং কিনা, তা নির্ভর করে কিছু বিষয়ের ওপর।

ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং কী?

  • এটি সাধারণত সন্তান ধারণের ৬-১২ দিন পর (ওভ্যুলেশনের পর) হয়ে থাকে, যখন নিষিক্ত ডিম্বাণু (fertilized egg) জরায়ুর দেয়ালে সংযুক্ত হয়।
  • রক্তের রঙ হালকা গোলাপি বা বাদামি হয়, পরিমাণ খুব সামান্য এবং ১-২ দিন স্থায়ী হতে পারে।
  • এর সাথে সাধারণত ব্যথা থাকে না বা সামান্য মৃদু ব্যথা থাকতে পারে।

সহবাসের পর হালকা রক্তপাত ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং নাকি অন্য কিছু?

ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং হতে পারে যদি:

  • সহবাসের আগেও হালকা রক্তপাত ছিল না।
  • রক্তপাতের পরিমাণ খুবই সামান্য এবং কয়েক ঘণ্টা থেকে ১-২ দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।
  • আপনি সম্প্রতি ওভ্যুলেশন করেছেন এবং প্রেগনেন্সির সম্ভাবনা আছে।

ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং নয় যদি:

  • রক্তপাত লাল বা গাঢ় লাল এবং অনেক বেশি হয়।
  • সহবাসের সময় বা পর ব্যথা অনুভূত হয়।
  • এটি একাধিক দিন ধরে চলে।
  • পূর্বে জরায়ু বা সার্ভিক্সের কোনো সমস্যা (যেমন সার্ভিকাল ইনফেকশন বা ইরিটেশন) থাকলে।

সম্ভাব্য কারণ (যদি ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং না হয়)

  • সহবাসের কারণে সার্ভিক্সে হালকা ক্ষত বা ইরিটেশন (বিশেষ করে যদি গর্ভধারণ হয়ে থাকে, কারণ তখন জরায়ু বেশি সংবেদনশীল থাকে)।
  • হরমোনজনিত পরিবর্তন (যদি পিরিয়ডের সময় কাছাকাছি হয়)।
  • সংক্রমণ বা সার্ভিকাল পলিপস

আপনি কী করবেন?

  • যদি এটি ১-২ দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে চিন্তার কিছু নেই।
  • যদি বারবার হয়, বেশি হয়, বা ব্যথা থাকে, তাহলে গাইনি ডাক্তার দেখানো ভালো।
  • প্রেগনেন্সি নিশ্চিত করতে ৫-৭ দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট (hCG টেস্ট) করতে পারেন

আপনার পিরিয়ড যদি মিস হয় বা প্রেগনেন্সির লক্ষণ থাকে, তাহলে টেস্ট করাই সবচেয়ে ভালো হবে।