আইসোটোপ বলতে আমরা এমন একটি অধিকৃত মৌলিক উপাদান বুঝি যার অ্যাটম সংখ্যা (protons) একই থাকে, কিন্তু নিউট্রনের সংখ্যা (neutrons) ভিন্ন হতে পারে। এর ফলে তাদের আণবিক ভর ভিন্ন হয়, তবে তারা একই রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, কারণ তাদের প্রোটনের সংখ্যা একই থাকে।
উদাহরণ:
- কার্বন আইসোটোপ:
- কার্বন-12 (C-12): এতে 6 প্রোটন এবং 6 নিউট্রন থাকে। এটি প্রকৃতিতে সবচেয়ে প্রচলিত।
- কার্বন-14 (C-14): এতে 6 প্রোটন এবং 8 নিউট্রন থাকে। এটি একটি স্থির আইসোটোপ না, বরং এটি অস্থির (radioactive) আইসোটোপ, যা জীবাশ্মের বয়স নির্ধারণে ব্যবহৃত হয় (কাবন ডেটিং বা কার্বন ডেটিং প্রক্রিয়ায়)।
- হাইড্রোজেন আইসোটোপ:
- প্রোটিয়াম (H-1): এতে 1 প্রোটন এবং কোনো নিউট্রন নেই। এটি সবচেয়ে সাধারণ হাইড্রোজেন আইসোটোপ।
- ডিউটারিয়াম (H-2): এতে 1 প্রোটন এবং 1 নিউট্রন থাকে।
- ট্রিটিয়াম (H-3): এতে 1 প্রোটন এবং 2 নিউট্রন থাকে, এবং এটি একটি রেডিওএকটিভ আইসোটোপ।
আইসোটোপের এই বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা, চিকিৎসা এবং শক্তি উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়।