অকাল বীর্যপাত (Premature Ejaculation – PE) একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেক পুরুষের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। এটি মানসিক চাপ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, স্নায়ুবিক সংবেদনশীলতা, বা কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে হতে পারে।

সমস্যার সম্ভাব্য কারণ:

  1. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ – অতিরিক্ত নার্ভাসনেস বা আত্মবিশ্বাসের অভাব।
  2. অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা – লিঙ্গের স্নায়ুগুলোর অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা।
  3. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা – কিছু ক্ষেত্রে হরমোনজনিত কারণে হতে পারে।
  4. অনিয়মিত যৌনজীবন – দীর্ঘদিন সহবাস না করলে PE হতে পারে।
  5. পর্নোগ্রাফি আসক্তি বা ভুল অভ্যাস – অতিরিক্ত পর্ন দেখার ফলে সহবাসের সময় উত্তেজনা দ্রুত বেড়ে যায়।

সমাধান ও করণীয়:

১. ধীরস্থির থাকুন ও মানসিক চাপ কমান

  • সহবাসের সময় ধীরে ধীরে শুরু করুন।
  • অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে পড়লে কিছুক্ষণ বিরতি নিন।
  • নিজেকে রিল্যাক্স রাখার চেষ্টা করুন।

২. কিগেল এক্সারসাইজ করুন

  • প্রস্রাব বন্ধ করার মতো অনুভূতি সৃষ্টি করে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন, তারপর ছেড়ে দিন।
  • এটি প্রতিদিন ১০-১৫ বার করুন, ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।

৩. সহবাসের আগে মাস্টারবেশন করুন

  • অনেকে সহবাসের আগে মাস্টারবেশন করলে সহবাসের সময় দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেন। তবে এটি অভ্যাস না করাই ভালো।

৪. পজিশন পরিবর্তন করুন

  • কিছু যৌন অবস্থান PE কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেমন, “মিশনারি” পজিশনের তুলনায় “রাইডিং” পজিশনে (যেখানে নারী উপরে থাকে) বেশি নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়।

৫. প্রস্রাবের সময় নিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করুন

  • প্রস্রাব করার সময় মাঝখানে কয়েকবার থামানোর অভ্যাস করুন। এটি লিঙ্গের সংবেদনশীলতা কমাতে সাহায্য করবে।

৬. পুরু কনডম ব্যবহার করুন

  • কিছু স্পেশাল কনডম (যেমন Durex Extended, Trojan Extended) PE প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

৭. ওষুধ ও ক্রিম ব্যবহার (ডাক্তারের পরামর্শে)

  • কিছু ওষুধ (যেমন SSRI গ্রুপের এন্টিডিপ্রেসেন্ট) PE কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • কিছু লোকাল এনেস্থেটিক (যেমন লিডোকেইন স্প্রে) সংবেদনশীলতা কমিয়ে দেয়।

৮. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

  • যদি এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে, তবে ইউরোলজিস্ট বা যৌন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আপনি যদি বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন, তাহলে প্রথমে কিগেল এক্সারসাইজ ও মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।